ট্রাকচাপায় সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় চালক আটক
![]()
নিউজ ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ট্রাকচাপায় কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত এক সেনাসদস্য নিহতের ঘটনায় লাইসেন্সবিহীন চালক আবুল কালামকে (৬২) কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা। এ সময় ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর এলাকা হতে ট্রাকচালক আবুল কালামকে আটক করা হয়। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার স্বল্প পেন্নাই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
২১ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বালুয়াকান্দি এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেলচালক তুষার। আহত হন মোটরসাইকেলের অপর আরোহী রিয়াজ (২৭) নামে এক ব্যক্তি। সম্পর্কে তিনি নিহত তুষারের দুলাভাই। পরবর্তীতে চালক ট্রাক নিয়ে দ্রুত ঐ স্থান থেকে পালিয়ে যান।
দুর্ঘটনায় নিহত মোটরসাইকেল চালক মেহেদী হাসান তুষার (২৫) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার নয়াকান্দি গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার পিতা জসিম উদ্দিনও একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য।
ঘটনার দিন ২১ ফেব্রুয়ারি তুষার তার দুলাভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গাজীপুর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। সন্ধ্যার দিকে তারা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও মোটরসাইকেল চালক তুষার ঘটনাস্থলেই মারা যান ও তার সাথে থাকা আরোহী রিয়াজ গুরুতর আহত হন। আহত রিয়াজকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে নিহত তুষারের বাবা বাদী হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি গজারিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে অজ্ঞাতনামা চালক ও অজ্ঞাতনামা গাড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা টিম হতে প্রাপ্ত তথ্য ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘটনাস্থলের আগে ও পরে একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ট্রাকচালককে শনাক্ত করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রাকচালক আবুল কালামকে আটক করা হয়।
ট্রাকচালককে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হারিয়ে গেছে বলে জানান। এছাড়া ১৯৮২ সালে তিনি নিজের নামে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করেন। ১৯৯৪ সালে তার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তিনি লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করেননি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি নিজে একটি ট্রাক ক্রয় করেন এবং ২০২০ সাল থেকে হেলপার ছাড়া নিজেই ট্রাকটি চালাতেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ‘আটক ট্রাকচালককে গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’