টেকনাফে ৩ বন্ধুর মরদেহ: একজনের ফোন উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণ হওয়া তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে নিহত রুবেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ। রুবেল কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী উত্তরপাড়ার মো. আলমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে এ ঘটনায় দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলের, রোহিঙ্গা শফি আলম ও তার ভাগ্নে আরাফাত। শফি কক্সবাজার সদরের ৬ নম্বর ঘাটে একটি দোকানে কাজ করতেন।
ওসি বলেন, ‘গেল ২৮ এপ্রিল কোহিনূর নামক একজন মেয়েকে দেখার টোপ দিয়ে রুবেলসহ তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনে রোহিঙ্গা শফি আলম। তিন বন্ধু অপহরণের শিকার হলে বিষয়টি আইনগতভাবে আমাদের নজরে আসে।
এরপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে শফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গেল ১৩ মে শফির দেওয়া তথ্যমতে তার ভাগ্নে আরাফাতকে মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের থেকে রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য পেয়েছি তা নিয়ে তাদের সাথে আর কে কে জড়িত আছে সকলকে ধরতে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধ নির্মূলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে টেকনাফ থানা পুলিশ। কিছুদিন আগেও বাহারছড়ায় বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ইস্যুতে অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ঠিক তেমনি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে অপহরণকারীদেরও আইনের আওতায় এনে টেকনাফকে অপহরণমুক্ত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল রুবেল বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে টেকনাফ যান। এসময় তার দুই বন্ধুও সঙ্গে যান। উপজেলার রাজারছড়া ফরেস্ট অফিস নামক স্থান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় অপহরণকারীরা তিনজনকে নির্যাতন করার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠায়। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও র্যাবের টিম।