রাখাইনের সব মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকে মিয়ানমার এক চুলও নড়বে না- সু চি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
গত ৩রা নভেম্বর রোববার রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে ব্যাংককে দশম আসিয়ান-ইউএন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের কক্সবাজারের সাড়ে সাত লাখের বেশি শরণার্থীর দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা মিয়ানমারের দায়িত্ব। রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারে এখনও বিপুলসংখ্যক শরণার্থী কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে আছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন “তিনি বলেন, অবশ্যই মূল কারণগুলি মোকাবেলা করা এবং নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব মিয়ানমারের।
এরপর দিন ৪ঠা নভেম্বর সোমবার ব্যাংককে পূর্ব এশিয়ার নেতাদের সম্মেলনে আসিয়ান-ইউএন শীর্ষ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, রাখাইনের সব মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকে মিয়ানমার সরকার এক চুলও নড়বে না দাবি করে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং ইউএনএইচসিআর ও ইউএনডিপির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫শে আগষ্ট নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করতে চাইলে সেসময় বাংলাদেশ সরকার তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে। এরপর থেকে দফায় দফায় আলোচনার পর দুই দফায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার।
