উখিয়া–টেকনাফ সীমান্তে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, বাড়ছে উদ্বেগ
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আবারও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ ঘটছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দফায় দফায় নতুন অনুপ্রবেশ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে আশ্রয় দেওয়ার পরও নতুন রোহিঙ্গাদের ঢল থামছে না। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও নতুন অনুপ্রবেশকারীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে দালালচক্রের সহায়তায় নতুন করে সাতটি পরিবারের ২৪ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও ১২ জন শিশু রয়েছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প–১৩ এর জি/৩ ব্লক এবং ক্যাম্প–১৯ এর এ/১৬, বি/১৩ ও ৬ নম্বর ব্লকে অবস্থানরত আত্মীয়দের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বহুদিন ধরেই প্রত্যাবাসনের কথা শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি নেই। ফলে উখিয়া–টেকনাফের জনজীবন, নিরাপত্তা ও পরিবেশ দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সীমান্তের সাংবাদিক তারেকুর রহমান জানান, “পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রোহিঙ্গারা উখিয়া–টেকনাফ দখলে নিতে পারে। মিয়ানমারের সমস্যা দেখা দিলেই তারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। আন্তর্জাতিক মহল বিষয়টি জানলেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।” তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের গুঞ্জন তাদের দেশে ফেরার আগ্রহ আরও কমিয়ে দিচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ গফুর উদ্দিন বলেন, “রোহিঙ্গারা শুধু ঢুকছে, কেউ ফিরে যাচ্ছে না। এতদিনে একজন রোহিঙ্গারও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের নজির নেই। যারা ফিরেও যায়, আবার ফিরে আসে। এর নেতিবাচক প্রভাব স্থানীয়দের প্রতিনিয়তই বহন করতে হচ্ছে।” তিনি দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা ও সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করার দাবি জানান।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের ১৩ ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) আল ইমরান জানান, অনুপ্রবেশের খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নবাগতরা ঠিক কোথায় অবস্থান করছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া–টেকনাফের নিরাপত্তা ও জনসংখ্যা কাঠামোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।