বান্দরবানে বৃহৎ যৌথ অভিযান: অবৈধ কাঠ চক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বড় সফলতা
![]()
নিউজ ডেস্ক
পরিবেশ সংরক্ষণ ও অবৈধ কাঠ চোরাচালান দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বন বিভাগের সমন্বয়ে বান্দরবানে পরিচালিত বিশেষ যৌথ অভিযানে জব্দ হয়েছে আনুমানিক ১০ হাজার সিএফটি অবৈধ কাঠ। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় জব্দ হওয়া কাঠের মধ্যে এটিই অন্যতম বৃহৎ চালান।
বান্দরবান সেনা জোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর নাফিউ সিদ্দিকী রোমান।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বালাঘাটা, উজানি পাড়া ও নিউ গুলশান এলাকায় টানা অভিযান চালানো হয়, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি সক্রিয় ছিল।
অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ৬টি কাঠ ডিপো ও ২টি স-মিলে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ উদ্ধার করে। কাঠের মালিকপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের চোরাই কাঠ সংগ্রহ ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কাঠের ধরন, পরিমাণ ও আইনি বৈধতা যাচাই শুরু করেন। জব্দ তালিকা প্রস্তুতের কাজও চলছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, “পরিবেশ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সেনাবাহিনী সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কাঠ চোরাচালান ও বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।” বাহিনীর মতে, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগের সমন্বয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চলবে।
অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বান্দরবানের স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর এই কঠোর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বন ধ্বংস রোধে এমন অভিযান নিয়মিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে কাঠ চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় বনজসম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে, আর সেই প্রেক্ষাপটে এই অভিযানের সাফল্য পরিবেশ সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।