শান্তিচুক্তি সংশোধন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থার দাবি পিসিসিপির

শান্তিচুক্তি সংশোধন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থার দাবি পিসিসিপির

শান্তিচুক্তি সংশোধন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থার দাবি পিসিসিপির
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড, সশস্ত্র তৎপরতা ও দীর্ঘদিনের অস্থির পরিস্থিতির প্রতিবাদে শান্তিচুক্তির সংশোধন ও পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), ঢাকা মহানগর শাখা।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সংগঠনটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রাসেল মাহমুদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান। বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এবং বিদ্যমান শান্তিচুক্তির কিছু দিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সমাবেশে পিসিসিপির পক্ষ থেকে যেসব পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— প্রথমত, সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে এবং সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের ভিত্তিতে শান্তিচুক্তি সংশোধন করা ও প্রচলিত জাতিগত বৈষম্যমূলক আইন সংস্কার করে এক সংবিধান ও এক আইন চালু করা।

দ্বিতীয়ত, জেএসএস, ইউপিডিএফসহ পার্বত্য অঞ্চলে সক্রিয় সকল বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।

তৃতীয়ত, ‘আদিবাসী’, ‘জুম্ম’ ও ‘সেটেলার’ শব্দ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণার দাবি।

চতুর্থত, পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সেনা ক্যাম্প বাড়ানোর আহ্বান।

পঞ্চমত, উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম না থামায় ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তি সংশোধন এবং ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের দাবি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা শেখ আহমেদ রাজু, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন, পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজান উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মোহিবুল্লাহ পারভেজসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির নামে আঞ্চলিক রাজনীতি ও সশস্ত্র আধিপত্যের কারণে সাধারণ মানুষ ভুগছে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষায় চুক্তির সংশোধন ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি বলে তারা উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও জাতিগত উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, আর সেই প্রেক্ষাপটে পিসিসিপির এই পাঁচ দফা দাবি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed