ভাসানচরে যেতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আগ্রহ প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ৮ মার্চ সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য দেখা করেন ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্টমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সেখানে স্থানান্তর রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে ইউএনএইচসিআর চাইলে যে কোন সময়েই কাজ শুরু করতে পারে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিলো। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
সর্বশেষ পঞ্চম দফার দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে যায় ১ হাজার ৭শ’ ৫৯ রোহিঙ্গা। পঞ্চম দফার প্রথম ধাপে ভাসানচর যায় আরো দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে ৯ হাজার ৫শ ৪০ জন রোহিঙ্গার আবাসন নিশ্চিত করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নেয়া হয় ভাসানচরে।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়।