রিজার্ভ ছাড়াল ৪৫ বিলিয়ন ডলার

নিউজ ডেস্ক
করোনাকালেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পৌঁছাল নতুন উচ্চতায়। প্রথমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার কর্মদিবস শেষে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। প্রতি মাসে ৪০০ কোটি ডলার হিসেবে বর্তমানে দেশের ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত এপ্রিল মাসে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ (২.০৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের (২০২০ সাল) এপ্রিলের চেয় ৮৯ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার।
দেশের ইতিহাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এত বেশি প্রবৃদ্ধি এর আগে কখনই হয়নি। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা এবং রপ্তানি বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ের চাপ কম এবং দাতা সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তা ও অনুদান বাড়ার কারণেই রেকর্ড উচ্চতায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল ১০ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ বেশি। এতে করে চলতি বছর টানা চার মাস পর ইতিবাচক ধারায় ফিরল রপ্তানি আয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির হালনাগাদ তথ্য বলছে, গেলো মাসে রপ্তানি আয় ছিলো ৩১৩ কোটি ডলার। যা গত বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে প্রায় ৫০৩ শতাংশ বেশি। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গেল ১০ মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি পণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যসহ বেশকিছু পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। যার মধ্যে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে সোয়া ছয় ভাগ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে আট ভাগ। তবে গেলো বছরের তুলনায় হিমায়িত খাদ্যপণ্যের রপ্তানি কমেছে চার শতাংশের বেশি।