কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৭
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়ার গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে চার জনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গারা হলেন, ১) আজিজুল হক (২২), পিতা- নুরুল ইসলাম, ব্লক- এইচ/৫২, ২) ইব্রাহিম (১৭), পিতা-অজ্ঞাত, ক্যাম্প-১৮, ৩) মোঃ আমিন(৩০), পিতা- আবুল হোসেন, ব্লক-এইচ/৫২। ৪) মোঃ ইদ্রিস ৩২), পিতা- অজ্ঞাত, ৫) হাফেজ নুর হালিম (৪৫), পিতাঃ মোঃ নবী, ব্লকঃ এফ/২২ ক্যাম্প-১৮। ৬) মৌলভী হামিদুল্লাহ (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, ক্যাম্প-১৮, ৭) নূর কায়সার(১৫), পিতা- নূর মোহাম্মদ, ব্লক-এইচ/৫০, ক্যাম্প-১৮। এখন পর্যন্ত এই ৭ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চার জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমি ঘটনাস্থলে আছি, পরে বিস্তারিত জানাবো।
তবে ক্যাম্পের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে ৭ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আরসা নামক সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে ক্যাম্প বাসীর দাবী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার বলেন, শুক্রবার ভোরে উখিয়া বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার রোহিঙ্গা নিহত হয়। এ সময় আহত হয় ১০ রোহিঙ্গা।
ঘটনার পরপরই এপিবিএন এবং জেলা পুলিশ বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন শিহাব কায়সার।