বান্দরবানে পৃথক সেনা অভিযানে জেএসএস (সন্তু)’র ৬ চাঁদাবাজ আটক
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের আওতাধীন সদর জোন কর্তৃক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সাবেক গেরিলা নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এর ৬ চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ও ২০ মে শুক্রবার জেলার সদর উপজেলার দুলুপাড়া ও কুহালং ইউনিয়নের খৈয়াছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বান্দরবান রিজিয়নের আওতাধীন সদর জোনের দুলুপাড়া আর্মি ক্যাম্পস্থ দুলুপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর একটি দল। অভিযানের সময় সেখান থেকে জেএসএস (সন্তু) সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং জেএসএস (সন্তু) এর চাঁদা সংগ্রহকারী থুই মং মারমা (৩০) এবং তার অপর এক সগযোদী ও চাঁদাবাজ থুইনু মং মারমা (২৩)কে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই, ৩ টি মোবাইল ফোন, ২ টি ম্যানি ব্যাগ, ২ টি ব্যাগ, ১ টি পাওয়ার ব্যাংক, উত্তোলিত চাঁদার নগদ ১৬ হাজার ৭শত ৫৪ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আটককৃতরা পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেএসএস (সন্তু) এর সশস্ত্র শাখার সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল।
অপরদিকে, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২০ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্দরবান রিজিয়নের সদর জোন কর্তৃক উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের খৈয়াছড়া পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানকালে জেএসএস (সন্তু)’র সংগ্রহকারী কমল জয় তংচঙ্গা (৩০), দীপায়ন চাকমা (২৮), সাইকোট (প্রকাশ বইল্লা) তংচঙ্গা (৩২) এবং সায়ন্ত চাকমা (২৬)কে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই, ৩ টি মোবাইল ফোন, ১ টি মোটরসাইকেল, ২ টি ভুয়া আইডি কার্ড, উত্তোলিত চাঁদার নগদ ২ হাজার ৩শত ৩৬ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবান সদর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহমুদুল হাসান জানান, এই অভিযান পাবর্ত্য চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।