ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া বাড়ছে বান্দরবানে - Southeast Asia Journal

ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া বাড়ছে বান্দরবানে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানে বাড়ছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপও বেড়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট না থাকায় মহিলা ওয়ার্ডে মশারি টাঙিয়ে ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বান্দরবান সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে সন্তানদের কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অর্ধশতাধিক অভিবাবক। এছাড়া বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।

বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৩ জন শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ জন ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে হসপাতালে। জুন মাসে ১০ শিশুসহ ৩৪ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। এছাড়া জুন মাসে বহির্বিভাগ থেকে ৬ হাজার ৭৩৪ জন, জরুরি বিভাগে ৬৪৪ জন ও অন্যান্য বিভাগে ৬১৭ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে।

বান্দরবান সিভিলসার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুন মাসে জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১১৭ জন হলেও এ বছর জুন মাসে তা ৮ হাজার ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭ গুণেরও বেশি।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ আল ফারাবি জানান, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের মাঝে অপুষ্টি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগের পাশাপাশি ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ম্যালেরিয়া রোগের ধরনও মারাত্মক মনে হচ্ছে। তবুও যথাসম্ভব সেবা দিয়ে আক্রান্তদের সুস্থ করার চেষ্টা করছি।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. এসএন ইকবাল হোসাইন জানান, ম্যালেরিয়া ও ডায়রিয়া পাহাড়ি অঞ্চলের রোগ হলেও ডেঙ্গু রোগটি অন্য জেলা থেকে কোনো না কোনো মাধ্যম হয়ে এ জেলায় আসে। ইদানিং ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম হলেও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ৩-৪ জন রোগী প্রতিদিন সেবা নিতে আসে হাসপাতালে। এছাড়া নতুন ২ ডেঙ্গু (আইজিএম ভেরিয়েন্ট) রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে মশারি টাঙানো, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও মশা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।