গরু চোর সন্দেহে বাংলাদেশিকে মালদায় গণপিটুনির বিএসএফে সোপর্দ
![]()
নিউজ ডেস্ক
গরু চোর সন্দেহে এক বাংলাদেশি নাগরিকসহ দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার কুমারপুর ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভোরে গরু চোর সন্দেহে দুই যুবককে আটক করে গ্রামবাসীরা। এরপর মারধর করে তাদের ৪৪ নং ব্যাটালিয়ন বিএসএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত যুবকদের নাম, আসরাফুল হক (২৫)। বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আলালপুর এলাকায়। আরেকজনের নাম ইয়াকুব মালিক (২৪)। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর তপন থানা এলাকায়।
এমন সময় এই ঘটনা ঘটলো যখন গরু পাচার নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, একাধিক নেতা-আমলা ধরা পড়েছেন সিবিআইয়ের জালে।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক ২ যুবককে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেবে বিএসএফ। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, সীমান্ত এলাকায় শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতে দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচার চলেছে, সঙ্গে রয়েছে অনুপ্রবেশ। জেলার জনসংখ্যার ভারসাম্য অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে তারা। এখন বিএসএফ সতর্ক থাকায় প্রকাশ্যে গরুপাচার না চললেও চুপিসারে এভাবে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল, এবার হাতেনাতে ধরে ফেলেছে গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি যে অভিযোগ করছিল সেটার সত্যতা প্রমাণিত হলো।
অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, সীমান্তের দায়িত্ব বিএসএফের। প্রশ্ন হলো কীভাবে বিএসএফের নজর এড়িয়ে ওই বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করলো তার জবাব বিএসএফকে দিতে হবে। বিজেপি সবকিছু নিয়েই একটা নোংরা রাজনীতি করে কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে বিএসএফের মাথায় বসে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুতরাং এই জেলার বিজেপি নেতাদের বড় বড় কথা না বলে আগে নিজেদের দিকে দেখা উচিত।