ইন্টারন্যাশনাল উইমেন, পিস এন্ড সিকিউরিটি সেমিনার উদ্বোধন - Southeast Asia Journal

ইন্টারন্যাশনাল উইমেন, পিস এন্ড সিকিউরিটি সেমিনার উদ্বোধন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পুলিশ এর সহযোগিতায় I ইন্টারন্যাশনাল উইমেন, পিস এন্ড সিকিউরিটি সেমিনার (ডব্লিউপিএস) আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স, ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সেমিনারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনারের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

REL - 01

সেমিনারে ডব্লিউপিএস এর সদস্য রাষ্ট্র এর সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিনিধিগণসহ বিভিন্ন বন্ধু প্রতিম দেশের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, দেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহন করেন।

এছাড়াও, উক্ত সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বাহিনী/সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদেশী সংস্থা হতে সামরিক ও অসামরিক প্রায় ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

REL - 05

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী এবং তাদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করেছেন যে ‘‘জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে’’ সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতাসহ মহান জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব যে কোন দেশের জন্য অনুকরনীয়। বাংলাদেশের নারীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ শান্তিরক্ষা মিশনের অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষী হিসেবে নারীদের নিয়োগ করে নারীর ক্ষমতায়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

REL - 02

শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীর ভূমিকাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০০০ সালে রেজুলেশন ১৩২৫ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশ National Action Plan on Women Peace and Security নামক তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এই জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে Defence Action Plan on Women, Peace and Security এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ গত ০৮ ফেব্রæয়ারি ২০২২ তারিখে WPS CHODs Network এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। উক্ত বিষয়সমূহকে উপজীব্য করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে Women, Peace and Security শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারের সহ আয়োজন হিসেবে একই দিনে WPS CHODs Network এর ২৬ টি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে একটি বাৎসরিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

দুই দিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আগামী ২৯ নভেম্বর ২০২২ তারিখে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত মায়ানমার নাগরিকদের সাথে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হবে। উক্ত মতবিনিময়ে WPS CHODs Network এর সদস্য রাষ্ট্র এর Chief of Defence Staff প্রতিনিধিগণসহ বিভিন্ন বন্ধু প্রতিম দেশের সামরিক ও অসামরিক প্রায় ৫০ জন দেশী/বিদেশী প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।