রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদির সহায়তায় ৪১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্প
![](https://southeast-asiajournal.com/wp-content/uploads/2023/06/WhatsApp-Image-2023-06-14-at-1.56.46-PM.jpeg)
নিউজ ডেস্ক
সৌদি আরবের সহায়তায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪১০টি জরুরি আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
গত ১৩ জুন মঙ্গলবার বারিধারাস্থ সৌদি দূতাবাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আদ-দুহাইলান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের (কেএসরিলিফ) সহায়তায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ৪১০টি জরুরি আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হচ্ছে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পের দুই হাজারের বেশি লোকের থাকার ব্যবস্থা হবে। তা ছাড়া অসহায় বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কেএসরিলিফ বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর ৪৪০টির বেশি প্রকল্প চালু রয়েছে। সাধারণ মানুষদের সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ ধরনের প্রকল্প সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
এদিকে আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ও কেএসরিলিফ-এর সহযোগিতায় উত্তরবঙ্গের শেরপুরে চোখ বিষয়ক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবা প্রতিষ্ঠান সৌদি নুর ভলান্টিয়ারের সদস্যরা।
সেখানে দুই হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং শতাধিক রোগীর অপারেশন করা হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়াও সেখানে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
হজযাত্রী প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছে যাবেন। এ সময়েই সব ধরনের সমস্যার সমাধান করা হবে। ‘রুট টু মক্কা’ উদ্যোগে ঢাকা থেকে সহজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালনে যাচ্ছেন। হজ বুলেটিন সূত্রে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৯৪০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেন।
আগামী ২২ জুন হজের ফ্লাইট শেষ হবে। তবে নানা কারণে ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরো ১০টি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ করা হয়।