বান্দরবানে কেএনএফ সমস্যা সমাধানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ঘোষণা পাজেপ চেয়ারম্যানের - Southeast Asia Journal

বান্দরবানে কেএনএফ সমস্যা সমাধানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ঘোষণা পাজেপ চেয়ারম্যানের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানে চলমান কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের সমস্যা সমাধানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ঘোষণা করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এঘোষণা করা হয়।

এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা, সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম, সদস্য সিংইয়ং ম্রো, সদস্য লেলুং খুমী, দৈনিক প্রথম আলো বান্দরবান প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমাসহ জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কমিটিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে আহব্বায়ক, কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যাকে মূখপাত্র ও লালজার বমকে সদস্য সচিব করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় ক্যশৈহ্লা বলেন বান্দরবানে কুকিচিন সমস্যা সমাধান করার লক্ষে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্টা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে বান্দরবানে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে সদস্য রাখা হয়েছে।

এই কমিটি কেএনএফ এবং সরকারের সাথে সমন্বয় করে কখন কোথায় বৈঠক করা হবে তা ঠিক করবে। আলাপ আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে এই কমিটির সদস্য ও মূখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা সাংবাদিকদের নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করবেন। বান্দরবান জেলার শান্তি সম্প্রিতি বজায় রাখার কল্পে সাংবাদিকসহ সকলের ইতিবাচক ভুমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

এছাড়াও কমিটিতে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনী, জেলাপ্রশাসন, পুলিশ ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) সদস্যদের সাথে স্বমন্বয় করে কেএনএ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, শান্তি প্রতিষ্ঠা, সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি, ঘর ছাড়া জনগণের নিজ গৃহে ফিরে ক্ষেত খামারে কাজ করতে পারার অনুকুল পরিবেশ তৈরীতে উদ্যোগ গ্রহন করাই এই কমিটির উদ্দেশ্য বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে কেএনএফ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বান্দরবান অরুণ সারকী টাউন হলে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও ১১টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

You may have missed