জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি - Southeast Asia Journal

জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরাতে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন ও বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শান্তিবাহিনীর (বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি) প্রধান সন্তু লারমার সাথে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের দীর্ঘ দেড়যুগ পরেও পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ না হওয়ায় এবং উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে এবার নিজেদের জন নিরাপত্তার দাবিতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৭২৫ জন এলাকাবাসীর (পাহাড়ী-বাঙ্গালী) গনস্বাক্ষর ও চাঁদার খাত সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনী হামলায় আহত ও নিহদের পরিজন এবং আপামর জনসাধারণ।

একইসাথে স্মারকলিপির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সেনা প্রধান, সামরিক সচিব, ডিজিএফআই মহাপরিচালক, জিওসি চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ২৭ বিজিবি, বাঘাইহাট জোন, ৫৪ বিজিবি, দীঘিনালা জোন, লংগদু জোন, বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে।

সম্মিলিত সকল সম্প্রদায়ের গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপিতে, গত ১৮ মার্চ পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কর্তৃক নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৮ জন নিহত ও ১৭ জন আহতের (অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন) ঘটনায় অদ্যাবদি উক্ত ঘটনার কোন বিচার বা কোন উল্লেখপূর্ব আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সাথে তৎকালীন শান্তিবাহিনী প্রধান সন্তু লারমা শান্তির জন্য চুক্তি করলেও এখনো পাহাড়ে রক্তপাত ঘটছে, হচ্ছে দেদারছে চাঁদাবাজি। আগে জনগন, পরে উন্নয়ন বলে জনসাধারণ দাবী করেছেন, পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে পাহাড়ে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়।

এছাড়া রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সাম্প্রতিক অপহরণ, চাঁদাবাজি ও খুনের ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ২ কিলোমিটার, বটতলী হেডম্যান পাড়া, রূপকারী পশ্চিম বদআদাম ফরেষ্ট অফিস, মোরগোনাছড়া-চিন্তারামছড়া ও তুলাবান খেতার টিলায় দ্রুত সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা। অবিলম্বে উক্ত এলাকাগুলোতে সেনাক্যাম্প স্থাপন করা না হলে পরিস্থিতি অধিকতর খারাপ হবার সম্ভাবনাও তুলে ধরেন তারা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঘাইছড়িতে কাঠ ব্যবসায়ী, চৌমুহনী মার্কেট সমিতি, উপজেলা মার্কেট সমিতি, ইট ভাটা, তামাক চাষী সমিতি, বড় ট্রাক সমিতি, সিএনজি সমিতি, ট্র্যাফে ট্রাক্টর সমিটি, মোটর সাইকেল সমিতি, অটোরিক্সা সমিতি, জুয়েলারি সমিতি, সেলুন সমিতি, বড় ডিও ব্যবসাযী, ছোট ডিও ব্যবসাযী, যেকোন পণ্যর ডিলার, কাঁচামাল ব্যবসায়ী, পোল্ট্রি ফার্ম, মাংসের দোকান, মাছ ব্যবসায়ী সমিতি, ঠিকাদার, লাকরী ব্যবসায়ী, বাইলক গাছ ব্যবসায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, গ্রিল ওয়ার্কসপ, ভাঙ্গারী দোকান, স-মিল, রাইস মিল, আরএফএল গাড়ি, হার্ডওয়্যার দোকান, হোটেল, বোডিং, ফলের দোকান, লাইব্রেরী, টেম্পু বোট সমিতি, জেলে সমিতি, মৌসুমী ঝাড়ু ব্যবসায়ী, আদা/হলুদ/মরিচ/শুকনা বরই ব্যবসায়ী, গরু/ছাগল ব্যবসায়ী, রড/সিমেন্ট, মেডিসিন ব্যবসায়ী, মাটির গাড়ি, কসমেটিকস ব্যবসায়ী, ফুটফাতের দোকান এমনকি পানের আড়ৎও বাদ যায়না সন্ত্রাসদের চাঁদার তালিকা হতে। আর তাদের চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পারলে গুম, খুনের শিকার হতে হয় নির্যাতিত ব্যবসায়ীদের।

তাই পাহাড়ে বসবাসরত নিরিহ পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের শান্তিতে বসবাসের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের আকুল আবেদন জানিয়েছেন বাঘাইছড়িবাসী।

1 thought on “জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

Comments are closed.