সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর বাসে আইএসের হামলায় নিহত ২৩
নিউজ ডেস্ক
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি বাসে জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে ২৩ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই হামলার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে দায়ী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গুলি চালানোর আগে জঙ্গিরা পূর্ব দেইর আল-জোর প্রদেশে একটি সামরিক বাস ঘিরে ফেলে। হামলায় নিহতের পাশাপাশি ১০ জনের বেশি সেনা আহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই হামলাকে চলতি বছর সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
২০১৯ সালে আইএস নিজেদের দখলে থাকা শেষ অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর এখনও বিস্তীর্ণ সিরিয়ার মরুভূমিতে গোপন আস্তানা বজায় রেখেছে। এসব আস্তানা থেকে ফাঁদ পেতে এবং হিট অ্যান্ড রান হামলা চালায়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বৃহস্পতিবার টি ২ পাম্পিং স্টেশন থেকে একটি সামরিক বাসে হামলা করেছে। যা দেইর আল-জোর শহরের দক্ষিণে ইরাকি সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এতে অনেক সেনা সদস্য নিহত ও আহত।
টি২ পাম্পিং স্টেশনটি ২০১৭ সালে সিরিয়ার সেনাবাহিনী পুনরুদ্ধার করার আগ পর্যন্ত আইএসের শক্ত ঘাঁটি ছিল।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই সপ্তাহের শুরুতে রাকা প্রদেশে আইএসের হামলায় ১০ সিরীয় সেনা এবং সরকারপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আইএস সদস্যরা সিরিয়ার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে তাদের হামলা বাড়িয়েছে। ২০১১ সালের পর এক পর্যায়ে আইএস ৮৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করেছিল। যা উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে উত্তর ইরাক জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ভূখণ্ড দখল করে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের ওপর তাদের নৃশংস শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়।
২০১৯ সালে গোষ্ঠীটিকে তাদের দখলে থাকা শেষ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হয়। তবে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, তারা এখনও হুমকি।