ভারতের সাব্রুমে ইমিগ্রেশন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে জোর প্রস্তুতি - Southeast Asia Journal

ভারতের সাব্রুমে ইমিগ্রেশন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে জোর প্রস্তুতি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী মহকুমায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী মহকুমা সাব্রুমে।

গত ১৬ আগস্ট বুধবার সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত ভবনের কনফারেন্স হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক (ডিএম) সাজু ওয়াহিদ বৈঠক শেষে সাব্রুমের স্থানীয় সাংবাদিকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরে ১ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু সম্পর্কে দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসকের বক্তব্যের ব্যাপারে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে সরকারি কোনো চিঠি বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা এই কথা বলেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় মুঠো ফোনে ওই কর্মকর্তা প্রতিনিধিকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে সরকারি কোনো চিঠি পাইনি।

রামগড় স্থলবন্দরে ইনচার্জ সিনিয়র সহকারি পরিচালক সঞ্জয় বারৈ বলেন, এখনও ইমিগ্রেশন চালুর দিন তারিখের কোনো তথ্য নেই। তবে ইমিগ্রেশন (যাত্রী পারাপার) চালুর সকল প্রস্তুতি রয়েছে রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে। দুদেশের সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে যে কোনো সময় কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।

জেলা শাসক সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সাব্রুমের অস্থায়ী আইসিপি (ইন্টিগ্রেটেড চেক পোষ্ট) ও মৈত্রী সেতু সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

বৈঠক শেষে সাব্রুমের স্থানীয় সাংবাদিকে সাজু ওয়াহিদ জানান, ১ সেপ্টেম্বর সাব্রুম-রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। চালুর প্রস্তুতি দেখতে তিনি সাব্রুম পরির্দশনে এসেছেন। এখান কোনো পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হবে না। শুধুমাত্র যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চলবে। সাব্রুম ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।