ইউপিডিএফ-জেএসএস’র মতো চাঁদাবাজি শুরু করেছে কেএনএফ!
![]()
নিউজ ডেস্ক
প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফ ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট পার্বত্যবাসী। পাহাড়ে সকল সমস্যার অন্তরায় এই চাঁদাবাজি, এটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। এবার ইউপিডিএফ-জেএসএস এর পথেই হাঁটছে বান্দরবানে ত্রাস সৃষ্টিকারী আরেক আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ।
সম্প্রতি সংগঠনটির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির দূর্নিবার পাড়ায় সেনাবাহিনীর ২৬ ইসিবির তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কের কাজে ব্যবহৃত বুলডোজার এবং স্কেভেটরের চালক ও সহযোগীসহ ৬জনকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়সহ তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলাধীন রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড দূর্নিবার পাড়ায় ১২ থেকে ১৫ জনের একদল কেএনএফ সন্ত্রাসী ২৬ ইসিবির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সড়ক কাজে ব্যবহৃত একটি বুলডোজার এবং একটি স্কেভেটরের চালক ও সহযোগীদের পথ আটকে তাদের জিম্মি করে নগদ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।
এসময় তাদের ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী চালক ও সহযোগী মাসুদ রানা, শামীম, আলী আজম, ইলিয়াস, পারভেজ ও সোহান।
তারা জানায়, বুলডোজার এবং স্কেভেটরটি দিয়ে সাম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড় ধসে রোয়াংছড়ি থেকে রুমা সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি সরানো ও গর্ত সারানোর কাজ করছিল ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের দৈনন্দিন খাবার সংগ্রহসহ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সাম্প্রতিক সময়ে রোয়াংছড়ির বিভিন্ন বম পাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে চাঁদা উত্তোলন, শ্রমিক অপহরণসহ নানা অপকর্ম করে আসছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে দুই দফা অনলাইনে বৈঠক করে কেএনএফ সদস্যরা। এতে করে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দেয়, স্বস্তি ফিরে আসে স্থানীয়দের মাঝে। তবে, উপিডিএফ-জেএসএস’র মতো চাঁদাবাজির ঘটনায় ফের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শান্তিপ্রিয় বান্দরবানবাসীর মাঝে।
সুশীল সমাজের প্রত্যাশা, সব ধরনের চাঁদাবাজি-অপহরণসহ অস্ত্রবাজী ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে কেএনএফ। শান্তি ও সম্প্রীতির বান্দরবানে ফিরে আসবে স্থায়ী শান্তি।