সিলেটে জেনারেল ওসমানীর সমাধিস্থলে সেনাবাহিনীর পুষ্পস্তবক অর্পণ - Southeast Asia Journal

সিলেটে জেনারেল ওসমানীর সমাধিস্থলে সেনাবাহিনীর পুষ্পস্তবক অর্পণ

সিলেটে জেনারেল ওসমানীর সমাধিস্থলে সেনাবাহিনীর পুষ্পস্তবক অর্পণ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি, সাবেক মন্ত্রী বঙ্গবীর জেনারেল (অবঃ) মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পুষ্পস্তবক ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে জেনারেল এমএজি ওসমানীর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠান শেষে জেনারেল ওসমানীর রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে সিলেট এরিয়ার সকল ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি, সাবেক মন্ত্রী বঙ্গবীর জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী ১৯৮৪ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এমএজি ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তার বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও মা জোবেদা খাতুন। অসাধারণ মেধাবী ওসমানী ১৯৩৪ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে প্রাইটোরিয়া পুরস্কার প্রদান করে।

সিলেটে জেনারেল ওসমানীর সমাধিস্থলে সেনাবাহিনীর পুষ্পস্তবক অর্পণ

১৯৩৯ সালে এমএজি ওসমানী রয়েল আর্মড ফোর্স ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সর্বকনিষ্ঠ মেজরের পদমর্যাদায় ভূষিত হন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এ সময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন। পাক-ভারত যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন তার বয়স চল্লিশের উপরে। ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

১৯৭০ সালের জুলাই মাসে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ থানার সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তানের বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জাতির সংকটময় মুহূর্তে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার স্বার্থে একটি সেনাবাহিনী ও একটি গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলেন। জাতির প্রতি তার চরম ত্যাগ ও মহান সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্নেল ওসমানী পি.এম.সি.কে জেনারেল পদে উন্নীত করেন। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ বিলুপ্ত হওয়ায় তিনি সামরিক বাহিনী থেকে ছুটি নেন এবং বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হিসেবে পরিষদের আসন গ্রহণ করেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।