ঢাকায় বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
নিউজ ডেস্ক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, নারী-শিশু পাচার, মাদক পাচারসহ সীমান্তের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৯ মার্চ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল রয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়ালর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন; আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড; সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ; দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায়সহ বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিএসএফ মহাপরিচালকের স্ত্রী এবং বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী স্মিতা আগারওয়াল তাঁদের সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশে সরকারি সফরে এসেছেন। তিনি বিজিবি মহাপরিচালকের স্ত্রী এবং সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নওরীন আশরাফের সঙ্গে মতবিনিময়সহ সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি সীমান্ত অফিসার্স লেডিস ক্লাব ও চিলড্রেন ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
৯ মার্চ সকালে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে এবং একই দিন ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবেন।