শান্তি বৈঠকে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীরা
নিউজ ডেস্ক
আরাকান আর্মিসহ তিন বিদ্রোহী সংগঠনের জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর আগ্রাসী আক্রমণে যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কোণঠাসা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় দেশটির সাতটি নৃতাত্ত্বিক সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন শান্তিচুক্তি করতে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে সংগঠনগুলো একটি জোট গঠন করেছে। ২০১৫ সালে যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকা ১০ সংগঠনের মধ্যে সাতটি এই আলোচনায় যোগ দিয়েছে। গত রবিবার থেকে সোমবার থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাইয়ে একদফা বৈঠক হয়েছে।
সাতটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জোটটি ‘পিস প্রসেস স্টিয়ারিং কমিটি’-এর স্থলাভিষিক্ত হবে। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (কেএনএলএ) যোদ্ধা কর্নেল সো কিয়াউ নিয়ুন্ত বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান এবং বেসামরিক মানুষকে রক্ষার জন্য আলোচনা হয়েছে।’
২০১৫ সালে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে সই হওয়া চুক্তির আলোকে ২০১৭ সালে ওই স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়। শুরুতে এতে আটটি সংগঠন ছিল, পরে ১০টি হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অংশ সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকার উৎখাতের পর এসব গোষ্ঠীর কেউ কেউ জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে যায়; কেউ আবার যুদ্ধবিরতি মেনে চলে। এবার চুক্তিভুক্ত ১০টি সংগঠনের সাতটি নতুন করে সমঝোতার জন্য আলোচনা শুরু করল। এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেভেন এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন অ্যালায়েন্স’।
নতুন জোটভুক্ত সংগঠনে কেএনইউ ছাড়াও রয়েছে দ্য রেস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট, নিউ মন স্টেট পার্টি, ডেমোক্রেটিক কারেন বেনেভোলেন্ট আর্মি, লাহু ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন, আরাকান লিবারেশন পার্টি এবং পা-ও ন্যাশনাল লিবারেশন অর্গানাইজেশন। জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন রেস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেটের চেয়ারম্যান ইয়াদ সের্ক।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) থেকে বের হয়ে আলাদা উপদল তৈরি করেছে একদল যোদ্ধা। কেএনইউয়ের সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ)। দুই উপদল একই নামে সশস্ত্র সংগঠন পরিচালনা করছে। সর্বশেষ সভায় অবিভক্ত কেএনইউয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মুতু সায়ে পোয়ে উপস্থিত ছিলেন।