মারমাদের সাংগ্রাই উপলক্ষে রামগড়ে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

মারমাদের সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

মারমাদের সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে পাহাড়ে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাই। উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য জেলার সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব সাংগ্রাইং উপলক্ষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে খাগড়াছড়ির রামগড় বিজয় ভাস্কর্য মাঠে মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রামগড় বিজয় ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাষ্টারপাড়া স্টেডিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব পোষাকে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায় আর নেচে গেয়ে আনন্দ উদযাপন শুরু করে।

মারমাদের সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংগ্রাইং উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও তাঁর সহধর্মিণী মল্লিকা ত্রিপুরা।

এ সময় সেনাবাহিনীর ২৪ আটিলারি ব্রিগ্রেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন, পৌর মেয়র রফিকুল আলম সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও মারমা সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মারমাদের সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

অনুষ্ঠানে পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আগামী দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল ধর্ম-বর্ণের সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবো। সকলে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন আর এই উন্নয়নের ফলে সকল সম্প্রদায় পাহাড়ে মিলেমিশে আনন্দকে ভাগাবাগি করেই এগিয়ে যাচ্ছে পাহাড়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মারমা উন্নয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী সভাপতিত্বে মাষ্টার পাড়া স্টেডিয়ামে আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধণা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।