ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য

ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য

ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে কক্সবাজার টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) নয় সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে তারা পালিয়ে এসেছে। তবে কতজন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন তার সংখ্যা এখনই সঠিক বলা যাচ্ছে না। সবাইকে একত্রে করে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের সংখ্যা জানানো হবে।

তবে ‍বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে বিজিপির নয় সদস্য পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় রয়েছে। অস্ত্র জমা নিয়ে তাদের প্রথমে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দিকে নিয়ে গেছে বিজিবি।

এদিকে ঈদের দিন থেকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ‌্যে জান্তা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান তুমুল চলমান যুদ্ধে একের পর এক মর্টার শেল ও গোলার বিকট শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটছে না।

টেকনাফের হ্নীলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুলফিকার আলি বলেন, ঈদের পর শুরু হওয়া ওপারের গোলার শব্দ এখনো এপারে পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রাণে বাঁচতে দেশটির বিজিপির ৯ সদস্য সীমান্ত দিয়ে এপারে ঢুকে পড়েছে। বিজিবি তদের হেফাজতে নিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে নিয়েছে। সীমান্তে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। পাশাপাশি সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলের পাশাপাশি সর্তক অবস্থানে আছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এরও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জন।

এরমধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।