রাঙামাটিতে অসহায় বিধবা মহিলার পাশে বিজিবি, উপহার দিল বসত ঘর
নিউজ ডেস্ক
বাংলা নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগির অংশ হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদুতে রাজনগর জোন (৩৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহ মোঃ শাকিল আলম কর্তৃক অসহায় এক বিধবা বৃদ্ধাকে বসতঘর উপহার দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) জোন অধিনায়ব বিধবা মোছাঃ সমত্ব বানুকে এ উপহার হস্তান্তর করেন।
উপজেলার বগাচত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা বিধবা মোছাঃ সমত্ব বানু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া এক একর জমিতে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে অগ্নিকান্ডে তার বসতবাড়িসহ জমির কাগজপত্র পুড়ে যায়। নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য না থাকায় তারা বসত বাড়ির স্থান ছেড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন এবং মা-ছেলে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এছাড়া বিধবা ওই নারী স্থানীয় ইকবাল হোসেন নামের একজনের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে বিপুল পরিমান টাকা ধার নেন। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তার ছেলে তাকে না জানিয়ে নিজেদের এক একর জমি উক্ত ইকবাল হোসেনকে বুঝিয়ে দেয়। এতে করে তাদের কষ্ট আরো বেড়ে যায়।
পরবর্তীতে বিষয়টি বিজিবি জোনের নজরে আসলে জোন অধিনায়কের একান্ত প্রচেষ্টায় নিজেদের জমির কিছু অংশ ওই বিধবা মহিলা ফের পেরত পান এবং বিজিবির কাছে একটি বসত ঘরের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে পার্বত্য এলাকায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রাজনগর জোন উক্ত বিধবা মহিলার শেষ বয়সে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে নতুন ১টি রান্নাঘর ও ১টি টয়লেটসহ থাকার সুন্দর পরিপাটি একটি বসত ঘর নির্মাণ করে দেয়।
বসতঘরের যাবতীয় নির্মাণ কাজ সমাপনান্তে ১৪ এপ্রিল মোছাঃ সমত্ব বানুকে নতুন ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল সোমবার নতুন গৃহে প্রবেশ উপলক্ষ্যে একটি ছোট অনুষ্ঠান ও চা-চক্রের মাধ্যমে বিধবা মোছাঃ সমত্ব বানুকে তার নতুন ঘরের প্রতিকী চাবি তার হাতে তুলে দেন জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহ্ মোহাম্মদ শাকিল আলম।
এসময় জোনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন, বগাচত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার এবং গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইউপি মেম্বারগণ, স্থানীয় হেডম্যান, কারবারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বসতঘর পেয়ে মোছাঃ সমত্ব বানু অত্যন্ত আনন্দিত, উচ্ছাসিত এবং রাজনগর জোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া রাজনগর জোন (৩৭ বিজিবি)`র এমন জনহিতকর ও মানবিক কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকাবাসী বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।