বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সিএইচটি কমিশনের

বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সিএইচটি কমিশনের

এভাবে অস্ত্র উঁচিয়ে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ঢোকে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। সাম্প্রতিক এই হামলার চিত্র ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং পার্বত্য এলাকার ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন (সিএইচটি কমিশন)।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি সংস্থাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং স্থায়ী শান্তির জন্য গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান জানায়।

সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দেয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেনভিত্তিক সংগঠন সিএইচটি কমিশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২ ও ৩ এপ্রিল কেএনএফ বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে ব্যাংক ডাকাতি করে। তারা পুলিশ বাহিনী, ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যদের ওপর হামলা করে এবং অস্ত্র লুট করে।

সিএইচটি কমিশন কেএনএফের এই অপরাধমূলক তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানায়। বান্দরবানের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি শান্তি আলোচনার মধ্যে থাকার সময় কেএনএফের এমন কাজের নিন্দা জানায় কমিশন। গণমাধ্যমের তথ্য উল্লেখ করে কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, কেএনএফের এ তৎপরতার পর তাদের বিরুদ্ধে চলা অভিযানে ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযোগ আছে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতির অংশ হিসেবে কেএনএফকে সৃষ্টি করা হয়েছে। একই গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় মারমা ন্যাশনালিস্ট পার্টিও (এমএনপি) সৃষ্টি করা হয়েছে।

সিএইচটি কমিশন মনে করে, ২৫ বছর আগে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কমিশন তিনটি সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে আছে কেএনএফ বা এমএনপির মতো গোষ্ঠী সৃষ্টিকারী কায়েমি স্বার্থবাদী মহলকে চিহ্নিত করতে হবে। পাহাড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। কমিশন চায় কেএনএফ আবার শান্তি আলোচনায় ফিরে আসুক এবং তাদের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধ করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সিএইচটি কমিশনের তিন কো-চেয়ার সুলতানা কামাল, এলসা স্টামোটোপৌলো ও মিরনা কানিংহাম কেইন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।