কেএনএফ ইস্যুতে ক্ষতির মুখে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্প

কেএনএফ ইস্যুতে ক্ষতির মুখে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্প

কেএনএফ ইস্যুতে ক্ষতির মুখে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্প
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য এলাকায় পর্যটকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বান্দরবান, রাঙ্গামাটির,খাগড়াছড়ি । তিন জেলার পর্যটন খাতের ব্যবসার প্রায় অর্ধেকই হয় দেশের সবুজ ছাদ খ্যাত এই জেলায়। তবে কেএনএফের হামলার ঘটনায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে পাহাড়ের পর্যটন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা না হলে, স্থায়ীভাবে পর্যটক হারাতে পারে রাঙ্গামাটির। এজন্য, শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সংকটের সমাধানের পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। পাহাড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে বছরে ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব।

সরেজমিনে গতকাল দেখা গেছে, কাপ্তাই লেকের ভ্রমণ পিপাসু দের আনাগোনা কম ।অলস সময় পার করছে বোট ,ইঞ্জিন চালিত সাম্পান,ডিগি নৌকা গুলো।তবে রাত পেরুতেই খবর আসে জেলার রুমা উপজেলায় রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানিয়দের মাঝে।

পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বান্দরবান। অথচ গেল দুই বছরের অধিকাংশ সময়ই ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল বান্দরবানে। তাতে প্রায় পর্যটক শূন্য দেশের এই সবুজ ছাদ।

আশা ছিল এবার ঈদে মিলবে কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের দেখা। আশায় গুঁড়েবালি। ঈদের মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই কেএনএফর নৈরাজ্যে ফের অস্থির বান্দরবান।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকে পর্যটকই নিরাপত্তাহীনতায় বান্দরবানের হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বান্দরবানের পরিস্থিতি কক্সবাজারসহ দেশের সামগ্রিক ঈদ পর্যটনে প্রভাব ফেলবে। ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মো. জিয়াউল হক হাওলাদার বলেন, ‘পর্যটন খাত থেকে প্রচুর আয় হয়। বলা যায় ঈদের সময় ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা আয় হয়ে থাকে।’

দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা না গেলে তৈরি হতে পারে আস্থার সংকট। তাতে স্থায়ীভাবে পর্যটক হারাতে পারে পার্বত্য অঞ্চল।

কৌশলগত শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। এজন্য স্থানীয়দের সমর্থন আদায়েরও পরামর্শ তাদের। তবেই পর্যটক পাবে পাহাড়ি এলাকায়।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এক দিকে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে এই সমস্যার একটা রাজনৈতিক সমাধান খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদেরকে আমাদের পক্ষে আনার চেষ্টা করতে হবে।’

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।