সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলস্বরূপ ঝরে গেল আরেকটি প্রাণ!
পাঠকের মতামত
শান্তিপ্রিয় সম্প্রীতির বান্দরবানে অশান্তি সৃষ্টিকারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শুরু থেকেই পাহাড়ের সাধারন মানুষ অশান্তি-অস্বস্তিতে ছিল। অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুনসহ নানা অপকর্ম করে যখন তারা অস্থির করে তুলেছিলো পাহাড়ের পরিবেশ তখনই দেশের সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কথায় আছে, ‘চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী’ একদিকে শান্তি আলোচনা অব্যাহত রেখে অপরদিকে রাষ্ট্রকে ধোঁকা দিয়ে চাঁদাবাজি-অপহরণ চালিয়ে যায় তারা। একটা পর্যায়ে দেশের অর্থনীতিতেও আঘাত হানার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বান্দরবানে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৩টি ব্যাংকে হামলা ও লুটপাট চালায় এই কেএনএফ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝেও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলো তখন কেএনএফের হাতে জিম্মি হবার ভয়ে গ্রামকে গ্রাম খালি করে এলাকা ছাড়ে স্থানীয় পাহাড়িরা। নিজেদের হটকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে কেএনএফ আজ নিজ জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি বিষফোঁড়ায় রুপ নিয়েছে। যাদের অধিকারের কথা বলে কেএনএফ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে, মতান্তরে তারাই আজ কেএনএফের কারণে ঘর-বাড়ি ছাড়া।
পাহাড়ে চলমান যৌথ অভিযানের সময় গোলাগুলিতে আজ রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় অজ্ঞাত নামা একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভাই নিহত হয়েছেন। তিনিও কারো না কারো বাপ-ভাই কিংবা আদরের পুত্র ছিলেন। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী বম সন্ত্রাসীর হটকারি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সিদ্ধান্তের কারণে তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলো। এর দায় পাহাড়ের সাধারণ নিরীহ পাহাড়িদেরও নিতে হবে। কেন না, সন্ত্রাসীদের মুখের কথা কিংবা মিথ্যা আশ্বাসে গলে গিয়ে নিজের আদরের সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার আগে এর পরিণতি সম্পর্কে ভাবা উচিত ছিলো। একটি যুবকের অনাগত সুন্দর ভবিষ্যৎ এভাবেই নষ্ট করে দিচ্ছে কেএনএফ।
পরিশেষে অজ্ঞাত ওই সন্ত্রাসী ভাইয়ের আত্নার সদগতি কামনা করছি আর তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা ও গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।
ফেসবুক থেকে নেয়া।