নাইজারেও ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র, বাধ্য হলো সেনা প্রত্যাহারে

নাইজারেও ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র, বাধ্য হলো সেনা প্রত্যাহারে

নাইজারেও ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র, বাধ্য হলো সেনা প্রত্যাহারে
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রুশ কৌশলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারেও ধরাশায়ী হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গেলো কয়েক বছর ধরে ক্রমবর্ধমানভাবে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে নাইজার, এমন পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে সমস্ত কমব্যাট সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

শুক্রবার মার্কিন ম্যাগাজিন পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন আনুষ্ঠানিকভাবে নাইজার থেকে এক হাজার কমব্যাট সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।

এরইমধ্যে রুশ সেনারা নাইজারে পৌঁছেছে এবং মার্কিন সেনারা রাজধানী নিয়ামির কাছে যে ঘাঁটিতে অবস্থান করেছিল সেখানে রুশ সেনারা অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে নাইজার থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর সেসব সেনাকে আফ্রিকার কোনো দেশে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে কোন দেশে এসব সেনাকে পাঠানো হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

গত বছরের ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নাইজারের প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সদস্যরা। পরে সেনাবাহিনীর বিশেষ এ শাখার প্রধান জেনারেল আব্দুর রহমান চিয়ানি নিজেকে নাইজারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।

নাইজারেও ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র, বাধ্য হলো সেনা প্রত্যাহারে

ইউরোপের বহু দেশ এ অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করলেও নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ বুরকিনা ফাসো ও মালি। এছাড়া রাশিয়া ও চীনেরও সমর্থন ছিলো।

সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই ‘ফরাসি সরকার নাইজারের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে’ উল্লেখ করে সেখানে থাকা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সামরিক সরকার। নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত দেশটি থেকে ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে ফ্রান্স।

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিপর্যয়ের আশঙ্কাপৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিপর্যয়ের আশঙ্কা
এরপর গত ১৭ মার্চ নাইজার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ২০১২ সালে সই হওয়া সামরিক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়। নাইজারে মার্কিন সেনা অবস্থানকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করে দেশটির সামরিক শাসক।

এর আগে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস)-এর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকারকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাইজারে একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। এতে বুরকিনা ফাসো এবং মালিও সম্পৃক্ত ছিলো।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।