রাঙামাটিতে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট বন্ধের আহবান বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট বন্ধের আহবান বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট বন্ধের আহবান বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কাঠ, মাছ, বাঁশ, গবাদি পশু পালন, কৃষিপণ্য ও মৌসমী ফলের চাষাবাদের ওপর জীবন-জিবীকা নির্বাহ করা ৮০ শতাংশ মানুষকে বছরের পর বছর ধরে একটি সিন্ডিকেট এর হাতে জিম্মি হয়ে আছে দাবি করে পাহাড়ে সকল ক্ষেত্রে নিয়ম হয়ে দাঁড়ানো চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট বন্ধে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ।

বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ, রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সমন্বয়ক জুঁই চাকমা স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে এসব দাবি জানানো হয়।

গতকাল সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, জেলাপ্রশাসক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রাঙামাটি সার্কেলের প্রধান বন সংরক্ষক ও পুলিশ প্রশাসনকে পাঠানো ওই আবেদনের একটি কপি আসে সাউথইস্ট এশিয়া জার্নালের হাতে।

আবেদনে জুঁই চাকমা বলেন, পাহাড়ে সকল ক্ষেত্রে অবৈধ চাঁদাবাজী নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তীত বাংলাদেশে আর কোন চাঁদাবাজ যাতে জন্ম না নেয়, বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ এটাই প্রত্যাশা করে।

আবেদনে বলা হয়, ‘রাঙামাটি জেলা শহরে বসে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নামে প্রতিনিয়ত সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্রাকপ্রতি কাঠের জন্য ১৪ হাজার টাকা করে বছরের পর বছর ধরে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোত মালিক ও রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নাম ব্যবহার করে সাধারন কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে স্থানীয় চাঁদাবাজদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। সেই সাথে বনবিভাগ এর বিরুদ্ধেও কয়েক স্তরে ঘুষ বাণিজ্যর কথাও শোনা যায়।’

এছাড়া আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গত ০৭-০৮ মাস আগে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনের নামে প্রহসন করে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে অনৈতিকভাবে একটি সিন্ডিকেট রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির ক্ষমতা ক্ষুক্ষিগত করে আছে বলে আমরা বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ জানতে পেরেছি। এঘটনা সত্যতা যাচাই পূর্বক সত্যতা পাওয়া গেলে রাঙামাটি জেলা সমবায় কর্মকর্তার মাধ্যমে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন অতিব জরুরী। এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সমুহ চিহ্নিত করে সমুলে এর চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ স্থানীয় সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সকল গোয়েন্দা সংস্থা সমুহ, জেলা প্রশাশন এবং বনবিভাগের সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছে ‘

বাংলাদেশে গত ১৫ বছর ধরে চরম কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করা স্বৈরাচার সরকারকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের মধ্যে দিয়ে উৎখাত করে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার কাজ চলছে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজও রাষ্ট্র সংস্কার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের এক দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী দল কর্তৃক বছরে ৩ থেকে ৪শ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। সম্প্রতি রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাধারণ জেলেদের কাছে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠে আঞ্চলিক দুটি সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর বিরুদ্ধে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।