টেকনাফের বসতঘরের আঙিনায় এসে পড়ল মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি

টেকনাফের বসতঘরের আঙিনায় এসে পড়ল মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি

টেকনাফের বসতঘরের আঙিনায় এসে পড়ল মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এতে ওপার থেকে মর্টার শেল, বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছে।

এর মধ্যে আজ সকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়ার বাসিন্দা আবদুর রহিমের বসতবাড়ির আঙিনায় এসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন হ্নীলার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী।

কাতারের আমিরের দেওয়ানে ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ও গবেষকের দায়িত্বরত টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা ড. হাবিবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, প্রায় সাত মাস পর দেশে এসেছে তিনি। কিন্তু ভোররাতে বোমার বিকট বিস্ফোরণের সঙ্গে বাড়ি কেঁপে ওঠে।

তিনি বলেন, সমস্যা মিয়ানমারের হলেও টেকনাফের বাসিন্দাদের নানান ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

আরেক বাসিন্দা আলী আহমদ বলেন, থেমে থেমে ভারী গোলার শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় অযথা না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, শুক্রবার রাতে আবারও বিস্ফোরণে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবে আর কতদিন চলবে? বর্তমানে সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।

হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও টেকনাফ সদরের জিয়াউর রহমান ও সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। সীমান্তের লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, হঠাৎ করে এভাবে বিস্ফোরণে বাড়িঘর কেঁপে উঠছে। স্বাভাবিকভাবে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হওয়ার কথা। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও এ সুযোগে যাতে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।