ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন না করে আঞ্চলিক পরিষদের ভবন নির্মাণ, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

নিউজ ডেস্ক
ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার শতাধিক পরিবারকে পুর্নবাসন না করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজের লে-আউট দিতে গেলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের রূপনগর এলাকায় এই নির্মাণ কাজ শুরুর প্রাক্কালে স্থানীয় কয়েকশো নারী পুরুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। এসময় লে-আউট কাজ প্রাথমিকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্টরা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বর্তন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে তাদেরকে পুর্নবাসনের আশ্বাস দিয়ে লে-আউট কাজ শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভূমি দখল ও দখল স্বত্বে টিলাভূমি কিনে বসবাস করছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগকে বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে বসবাসকৃতরা সকল প্রকার ট্যাক্স, পৌরকর প্রদান করে আসছেন। ১৫-২০ বছর যাবৎ এই স্থানে বসবাস করে আসছেন তারা। সরকারিভাবে ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় জায়গার মালিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাসিন্দাদের বৈধ কোনও কাগজ নেই। আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের আগে তাদের অন্য কোনও স্থানে পুনর্বাসন করা না হলে তারা এই জায়গা ছাড়বেন না। অন্যত্র পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দখল ভূমি ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আন্দোলনকারিরা বলেন, দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সরকার খাওয়াচ্ছে। আমরা এই দেশের নগরিক। সরকারকে ভোট দিই। তাহলে সরকার কেন আমাদের বসতবাড়ি ছাড়া করবে। আমাদের অন্য কোনও স্থানে জায়গা বা থাকার ব্যবস্থা না করে দেওয়া পর্যন্ত এই জায়গা আমরা ছাড়বো না।’
বিক্ষোভরত বেশ ক’জন নারী জানান, স্থানটি দখল স্বত্বে আমরা বিভিন্ন মানুষের কাজ থেকে ক্রয় করে দীর্ঘদিন বসবাস করছি। আয় কম এমন ধরনের মানুষের বসবাস এই স্থানে। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে আমাদের এই স্থান থেকে উঠে চলে যেতে হবে। তাই আমরা চাই, আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলে আমরা চলে যাবো।
তবে গণপূর্ত বিভাগের কর্তব্যরত প্রকৌশলী ক্যামেরার সামনে কথা চাননি।
২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ১৪.৭৫ একর জায়গা দেয় সরকার। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪শতাধিক পরিবার বসবাস করছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।