রামগড়ে ইউপিডিএফের পৃষ্ঠপোষকতায় বিক্ষোভ মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক

রামগড়ে ইউপিডিএফের পৃষ্ঠপোষকতায় বিক্ষোভ মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক

রামগড়ে ইউপিডিএফের পৃষ্ঠপোষকতায় বিক্ষোভ মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় সেনাবাহিনী ও বাঙালি বিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এর সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।

অঅজ সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টায় রামগড় বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। ইউপিডিএফের প্রত্যক্ষ মদদে আয়োজিত এ মিছিল ঘিরে শুরু থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মিছিলটি রামগড় বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একটি উস্কানিমূলক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির নামে ইউপিডিএফ পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে এই আয়োজন করে।

মিছিল ও সমাবেশজুড়ে সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে উগ্র স্লোগান দেয়া হয়।

মিছিল চলাকালে রামগড় বাজার এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় বাঙালি বাসিন্দারা দাবি করেছেন, এটি ইউপিডিএফের পরিকল্পিত অপতৎপরতার অংশ। দীর্ঘদিন ধরেই ইউপিডিএফ পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি এবং বাঙালিদের ভয় দেখিয়ে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, “এই ককটেল বিস্ফোরণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ইউপিডিএফের একটি সুপরিকল্পিত অপকৌশল। ওরা আমাদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করতে চায়।”

পাহাড়ি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউপিডিএফের উগ্র নেতারা সহজ-সরল পাহাড়ি নারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে এই মিছিলে নিয়ে আসে। তাদের সামনে সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার করে পাহাড়িদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালায় সংগঠনটি।

এ ঘটনায় রামগড় থানার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না দেওয়া হলেও, একাধিক সূত্র জানিয়েছে পুলিশ ঘটনার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে।

রামগড় থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “বিস্ফোরণের পেছনে কারা জড়িত এবং কারা পরিকল্পনা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকে রামগড়সহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ দাবি করেছেন, ইউপিডিএফের এমন দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড়ে শান্তি ও সহাবস্থান রক্ষায় প্রশাসনের আরও কঠোর মনোভাব দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।