রাঙামাটিতে মারমাদের জলকেলি ঠেকাতে মরিয়া জেএসএস, হামলার হুমকি!
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও শান্তিপূর্ণ উৎসব ‘সাংগ্রাই’ ঘিরে যখন পাহাড়জুড়ে আনন্দ-উৎসবের আবহ, ঠিক তখনই সেই উৎসবে ছায়া ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির এ মিলনমেলায় হুমকি দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জেএসএস-এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে—স্থানীয়রা যেন আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) এর মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলোৎসবে অংশ না নেয়। এই ধরনের উস্কানি শুধু সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং গোটা পাহাড়ি জনপদের সামাজিক ঐক্য ও সংস্কৃতির ওপর সরাসরি আঘাত।
“এটা সরাসরি সন্ত্রাসবাদ, সংস্কৃতির নামে হামলার ঘোষণা। পাহাড়ে শান্তি-সম্প্রীতির শত্রুদের চেহারা আর বেশি দিন লুকিয়ে রাখা যাবে না।” — এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির সভাপতি মংসুইপ্রু মারমা বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতির জন্য লড়ছি, ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না। পাহাড়ের জনগণ শান্তিপ্রিয়, জেএসএস-এর এই হুমকি তাদেরও অপমান।”
উৎসবটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সেনাবাহিনীর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক। সঙ্গে থাকবেন সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যৌথভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
জনগণ প্রশ্ন তুলছে—একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে কেন্দ্র করে অস্ত্র উঁচিয়ে স্থানীয়দের ভয় দেখানোর অধিকার জেএসএস কে দিয়েছে? বারবার শান্তির নামে অস্ত্রধারীদের এই ধরনের সন্ত্রাসী মনোভাব বরদাস্ত করা যায় না।
উল্লেখ্য, জেএসএস-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি—যা তাদের অন্ধকারময় ও একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবেরই প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।