রাঙামাটি সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে গণমাধ্যমে জেএসএস'র প্রতিক্রিয়া - Southeast Asia Journal

রাঙামাটি সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে গণমাধ্যমে জেএসএস’র প্রতিক্রিয়া

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

গত ১৬ ও ১৭ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও রাঙ্গামাটি সফর কালে বেশ কয়েকটি সভায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তব্য প্রদানকে ঘিরে এবার নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস। যদিও দুই মন্ত্রনালয়ের আমন্ত্রনপত্র পেয়েও সভাগুলোতে অংশ নেন নি সন্তু লারমা।

নিজেদের অভিমত প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জেএসএস নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৬ ও ১৭ অক্টোবর ২০১৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ ঘটা করে দুই দিনের এক সফরে পার্বত্য চট্টগ্রামে আসেন। এসময় খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক সমাবেশে এবং রাঙ্গামাটি শহরে দেশের ও পার্বত্যাঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজকে নিয়ে অন্তত দুইটি সভায় যোগদান করেন এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ‘তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা’ ও আলোচনা সভার ব্যানারে অনুষ্ঠিত দুইটি সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, সংঘাত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং যেকোন মূল্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা বলেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং পাহাড়ে যারা চাঁদাবাজি ও রক্তপাত করছে তাদের জন্য ভয়ংকর দিন আসছে বলে তিনি হুমকি প্রদান করেন। অপরদিকে এসব সভায় সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র সচিব প্রমুখ কর্তাব্যক্তিরাও একতরফাভাবে সন্ত্রাস, হানাহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে উস্কানীমূলক ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। মাটির তিন ফুটের গভীরে লুকিয়ে থাকলেও সন্ত্রাসীদের বের করে আনা হবে। দুই কোটি লোক বসবাসকারী ঢাকা শহরে এবং অন্য জেলা থেকে ঢাকা শহরে এক কোটি লোকের প্রতিনিয়ত যাতায়াত সত্ত্বেও যেখানে ঢাকা শহর থেকে সন্ত্রাসীদের অনায়াসে খুঁজে বের করা হয়, সেখানে ১৫/১৬ লক্ষ বসবাসকারী পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা কোন ব্যাপারই নয় বলে হুমকি প্রদান করা হয়। এধরনের একতরফা অভিযোগ ও হুমকির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনমনে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এসব সভা কার্যত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রক্রিয়াকে সরাসরি লঙ্ঘন করে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮ অনুসারে সাধারণ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আঞ্চলিক পরিষদের এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পুলিশ (স্থানীয়) বিষয়টি পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন একটি কার্যাবলী। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে কোনরূপ আলোচনা ব্যতিরেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক একতরফাভাবে এসব সভা আয়োজন করা হয়। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে কেবল উক্ত সভাগুলোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মাত্র। সভা আয়োজনের কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সাথে কোনরূপ আলোচনা করা হয়নি। তাই আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এসব সভা পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আইনকে লঙ্ঘন করেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। অপরদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে এসব সভায় একতরফা, মনগড়া ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের এধরনের অশান্ত পরিস্থিতির পেছনে যে গভীর প্রেক্ষাপট ও ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র রয়েছে সে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়ে উস্কানীমূলক ও হুমকিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের অব্যাহত টালবাহানা ও গড়িমসির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি দিন দিন যে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং সে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে চেপে যাওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা, চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংস করা ইত্যাদি একের পর এক ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে।

বিবৃতিতে জেএসএস নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, “কূটনীতিকদের সাথে আঞ্চলিক দলগুলোর বৈঠকের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চরম সাম্প্রদায়িক ও জুম্ম-বিদ্বেষী মানসিকতারই বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে বলে নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। তবে বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা ইতিবাচক দিক উল্লেখ করেছেন সেটা হচ্ছে, ‘চুক্তি অনুযায়ী আমরা এখনও শান্তিচুক্তিকে সম্মান (অনার) করছি। আমরা চাই, এই শান্তিচুক্তিকে অনুসরণ করেই আমরা এই জায়গায় শান্তি নিয়ে আসবো।’ তবে এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, চুক্তির কোন বিষয়গুলো অনুসরণ বা বাস্তবায়ন করে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন তা তিনি কোন দিক নির্দেশনা বা সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করেননি।” বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পার্বত্য চুক্তি যদি অনুসরণ করে পার্বত্যাঞ্চলে প্রকৃত শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে, তাহলে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা যায়-

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম (উপজাতি) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আইনী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম (উপজাতি) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং এলক্ষ্যে আইনী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মাধ্যমিক শিক্ষা, পর্যটন, উন্নয়ন ইত্যাদি কার্যাবলী ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করতে হবে।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
  • ‘অপারেশন উত্তরণ’ নামক সেনাশাসনসহ সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করতে হবে।
  • ভূমি কমিশনের বিধিমালাকে অচিরেই যথাযথভাবে প্রণয়ন করে এবং ভূমি কমিশনে পর্যাপ্ত তহবিল ও জনবল বরাদ্দ এবং রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে কমিশনের শাখা স্থাপন পূর্বক ভূমি কমিশনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করে জুম্মদের বেহাত হওয়া জায়গা-জমি ফেরত প্রদান করতে হবে।
  • চুক্তি মোতাবেক ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুদের তাদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ পূর্বক যথাযথভাবে পুনর্বাসন করতে হবে।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে জুম্মদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে।
  • চুক্তি মোতাবেক জনমুখী ও প্রকৃতি-বান্ধব উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে আঞ্চলিক পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসতে হবে এবং পার্বত্যবাসীকে নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই নির্ধারণ করতে আত্মনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন ধারা গড়ে তুলতে হবে।
  • পার্বত্য চুক্তির সাথে সঙ্গতি বিধানকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য সকল আইন ও বিধি সংশোধন করতে হবে।
  • অলিখিত চুক্তি মোতাবেক সেটেলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন প্রদান করতে হবে।

জেএসএস নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর আজ ২২ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আজ দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে এ যাবৎ এগিয়ে আসতে কোন দৃশ্যমান ও সদিচ্ছাপূর্ণ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। চুক্তি করে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে না, প্রতারণা করা হবে, জুম্ম জনগণকে জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্নকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, পক্ষান্তরে নিজেদের ব্যর্থতাকে ও প্রতারণামূলক ভূমিকাকে ধামাচাপা দিতে তথাকথিত খুন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দমন-পীড়নের হুমকি দেয়া হবে এটা কোন গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তির নীতিবোধ হতে পারে না। মোদ্দা কথা হচ্ছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হলে, সামরিক উপায়ে দমন-পীড়নের পরিবর্তে চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হলে, তবেই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান হবে। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হতে বাধ্য এবং তার জন্য সরকার কখনোই দায়ভার এড়াতে পারে না।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন রামগড় উপজেলায় নবনির্মিত রামগড় থানা ভবন উদ্বোধন করেন এবং দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে রামগড় হাই স্কুল মাঠে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ঐ দিনই তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শহরে আসেন এবং সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি ডেপুটি কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উক্ত বিশেষ সভায় যোগদান করেন। এর পরদিন ১৭ অক্টোবর ২০১৯ সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একই বিষয়ে আয়োজিত সভায় যোগদান করেন তিনি। এসমস্ত সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মিসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমাসহ সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের জেলা ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ সুধী সমাজের কেউ কেউ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

উক্ত সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় হঠাৎ করে রক্তপাত শুরু হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে তিন পার্বত্য জেলায় নির্বিচারে খুন ও চাঁদাবাজির কারণে পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। ভয়ংকর এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই ভয়ংকর পরিস্থিতি থামানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘যেসব স্থান থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেসব স্থানে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ বা বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, প্রয়োজনে আরো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবি, পুলিশকেও আমরা হেলিকপ্টার কিনে দেবো। সব জায়গায় আমরা রাস্তা এবং হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা সবকিছু আমরা করবো। যাতে করে এই জায়গায় আবার শান্তি ফিরে আসে।’

2 thoughts on “রাঙামাটি সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে গণমাধ্যমে জেএসএস’র প্রতিক্রিয়া

  1. Hello my friend.
    Our employees wrote to you yesterday maybe…
    Can I offer paid advertising on your site?

Comments are closed.