চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করে পদ্মায় ফেললো বিএসএফ
![]()
নিউজ ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যার পর পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। নিহতরা হলেন—ইব্রাহিম রিংকু (২৮) ও মমিন মিয়া (২৯)।
গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) গভীর রাতে আন্তর্জাতিক পিলার ৭৬ ও ৭৭ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
নিহত ইব্রাহিম রিংকু চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের গাইপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে এবং মমিন মিয়া পাঁকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে গরু আনতে ৪–৫ জনের একটি দল ওয়াহেদপুর বিওপি-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যায়। এসময় ভারতের নিমতিতা ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা মমিন ও রিংকুকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। তাদের সঙ্গে থাকা অন্যরা কোনোভাবে পালিয়ে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়।
যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনাটি স্বীকার করেনি, তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সীমান্তবাসী ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে দাবি করেছেন।
শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিক উদ্দিন পালিয়ে আসা দুই ব্যক্তির বর্ণনার সূত্র ধরে বলেন—“তাদের ধরে বেধড়ক পিটিয়ে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে বিএসএফ সদস্যরা।”
এদিকে নিখোঁজদের পরিবার আইনগত ঝামেলার ভয় ও আশঙ্কা থেকে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিহতদের লাশ ভারতীয় পানিসীমা থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফেরেনি।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। ইতোমধ্যে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা বছরে বহুবার ঘটলেও পিটিয়ে হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।