ঢাকার বাতাসে সর্বোচ্চ মাত্রার মিথেনের উপস্থিতি
![]()
নিউজ ডেস্ক
কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও ৮৪ গুণ বেশি ক্ষতিকর গ্যাস মিথেন। এর অতিমাত্রার উপস্থিতি মিলেছেন রাজধানীর বাতাসে। আর এ দাবি করছে গ্রিনহাউস ইফেক্ট নিয়ে কাজ করা কিছু বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের।
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ পর্যবেক্ষক জিএইচজি স্যাট ও ব্লু-ফিল্ডের হিসাবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ১২টি জায়গার একটি ঢাকা। আর এ গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে মাতুয়াইলের বর্জ্যের ভাগাড় থেকে।
প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কাইরোস সাস, চলতি বছর মিথেন নিঃসরণের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে মাতুয়াইলের বজ্যের ভাগাড়কে। তাদের দাবি, ১৮১ একরের এই জায়গাটিতে দিনে আড়াই হাজার টনের মতো আবর্জনা ফেলা হয়।
ওই গবেষণার পর সম্প্রতি প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ট্রিয়লভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের গত ১৭ এপ্রিলের হুগো স্যাটেলাইটে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল থেকে বিপুল পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হচ্ছে।
এর পরিমাণ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি। প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ ৯০ হাজার গাড়ি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায়, তার সমান দূষণ ছড়াচ্ছে মাতুয়াইলের বিশাল এই ময়লার ভাগাড় থেকে।
এ প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ২৪ এপ্রিল ১০ সদস্যর কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলছেন, মিথেনের উপস্থিতি থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাদের দেয়া পরিকল্পনা অনুমোদন করা হলে, এ সংকট থাকবে না।
তবে ঘণ্টায় ৪ হাজার কেজি মিথেন নিঃসরণের যে দাবি জিএইচজি স্যাট করেছে, তার সঙ্গে একমত নন দেশের পরিবেশবিদেরা।
মিথেনের উচ্চ নিঃসরণ মানবদেহ ও প্রকৃতি-জীব বৈচিত্র্যে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলবে জানিয়ে নিঃসরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।