একদিনের ব্যবধানে আরেক আওয়ামীলীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
মাত্র একদিনের ব্যবধানে বান্দরবানের লামা উপজেলায় আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহতের নাম আলমগীর সিকদার (৩৮)। তিনি লামা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় ১২ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী তাকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘেরাও করে। পরে মোটর সাইকেলের উপর তাকে ধরে গলা কেটে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের দুটি মোটর সাইকেল আটক করলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
লামা পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে এসে তাকে হত্যা করে চলে যায়, আমরা এ ধরনের হত্যাকান্ড দেখে খুবই অবাক। একদিন আগে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু একদিনের মাথায় ফের আবার বান্দরবানের লামা উপজেলায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
নিহত আলমগীর সিকদার লামার সরই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সন্তান।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপেহ্লা রাজু নাহা জানান, আমরা বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছি। এখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে আমরা ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য এলাকাবাসী এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা যাচাইয়ের যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুত ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে পারব।
প্রসঙ্গত গত সোমবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মং মং মার্মা কে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সড়কে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা কিন্তু বাকি একদিনের মাথায় আবার আমার ইউনিয়নে হত্যাকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে।
আর ঘটনার এইসব পুনরাবৃত্তি দেখে বান্দরবানের জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ খোব প্রকাশ করেছেন তারা বলছেন পার্বত্য বান্দরবানের শান্তি-শৃঙ্খলা কে অশান্তিতে পরিণত করার জন্য একটি দুর্বৃত্ত বাহিনী এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যতই চক্রান্ত করুক না কেন সম্প্রীতির বান্দরবান কে যারা ধ্বংস করার জন্য এসব ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তাদেরকে খুব দ্রুত আবিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার জন্য মাঠে নামবে আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ।