আদিবাসী ষড়যন্ত্রের অন্তরালে দেশ ভাগের পাঁয়তারা করছে সন্তু গংরা- পিবিসিপি
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান বিরোধী ও সরকারী জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অমান্য করে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার এবং মহান শহীদ মিনারের মতো একটি জাতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে সন্তু লারমার মতো একজন খুনী, সাবেক গেরিলা নেতা ও সন্ত্রাসীর আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি “আদিবাসী ষড়যন্ত্রের অন্তরালে দেশ ভাগের পাঁয়তারা” বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
৫ই আগষ্ট সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থি, দেশ বিভক্তির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার ও অসাংবিধানিক আদিবাসী দিবস পালনের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভূইয়া বলেন, আদিবাসী শব্দটি রাজনৈতিকভাবে বেশ স্পর্শকাতর, ২০০৯ সালে সাংবিধানিক ভাবে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই, তারপরও কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবি নির্লজ্জভাবে উপজাতিদেরকে আদিবাসী বলে সংবিধান লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে সন্তু গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি। তিনি বলেন, উপজাতিরা নিজেদের মিথ্যে আদিবাসী পরিচয় দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬(২) এ স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন এবং অনুচ্ছেদ ২৩(ক): রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। অন্যদিকে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আাদিবাসী হতে পারে না। উপজাতীয়রা আদিবাসী ইস্যুটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতকারী এবং দেশ ভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি শীঘ্রই এই বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্থক্ষেপ কামনা করেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিঃ আব্দুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কয়েকজন সন্তু লারমার সাথে মিলে, উত্তোলিত চাঁদার ভাগ পেয়ে সরকারের নির্দেশনা না মেনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তথাকথিত আদিবাসি দিবসের নামে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে, যাতে দেশের কিছু সুশীল এসব কর্মকান্ডে উৎসাহ দিচ্ছে। এটা একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। বিদেশী কয়েকটি রাষ্ট্র ও এনজিও সংস্থার মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে এখানকার একশ্রেণীর মানুষ দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার মানসে বিতর্কিত আদিবাসি দিবস পালন করছে সন্তু গংরা।
তিনি এসব দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের সাথে নিয়ে দেশ রক্ষার্থে এসব দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলার গড়ে তুলে এসব সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাদেশে আদিবাসী না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট ও সরকারের পক্ষ হতে চিঠি দিয়ে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার না করার অনুরোধ ও প্রজ্ঞাপন জারি করা স্বত্ত্বেও আদিবাসী সংসদীয় ককাসের আয়োজনে গতকাল সভা করে দেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোর করে আদিবাসী করার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইঞ্জিঃ আব্দুল মজিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনি সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসার সন্ত্রাসীবাহিনী কর্তৃক পাহাড়ে নিরীহ জনগনের রক্তচুষে চাঁদাবাজির একটা অংশ পান বলেই রাশেদ খান মেনন আর শাহরিয়ার কবিররা আদিবাসীর মতো একটা স্পর্শকাতর শব্দ বারবার ব্যবহার করে পাহাড়কে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এসময় এসব সন্ত্রাসীদের দোসর ও সুশীল নামধারী নব্য সন্ত্রাসীদের দেশবিরোধী যেকোন কর্মকান্ড প্রতিহত করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
সমাবেশে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মো: ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ রানা, শেখ আহাম্মদ (রাজু), পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর আহবায়ক এ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি মোঃ আলী হোসেন, মোঃ আতাউর রহহমান খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মোঃ আসাদুল্লাহ আসাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন, সোহেল রানাসহ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।