ছাত্র আন্দোলনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল নাটোরের সব থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা

ছাত্র আন্দোলনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল নাটোরের সব থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা

ছাত্র আন্দোলনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল নাটোরের সব থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ভাংচুর চালানো হলেও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার কারণে নাটোর জেলা ডিসি অফিস, পুলিশের সকল থানা, নাটোর জেলা কারাগার ও পুলিশ লাইন, নাটোরসহ অন্যান্য সরকারী/বেসরকারী স্থাপনায় কোন হামলা/ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি এবং নাটোর জেলার কোন সরকারী গাড়ী পোড়ানো হয়নি, কোন সরকারী কর্মচারী হতাহত হয়নি।

নাটোর জেলায় ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলেও আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের বেশ কিছু সংঘর্ষ সংঘটিত হয়, যা ব্যাপক আকার ধারণ করার পূর্বে নাটোর জেলায় মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল এবং তদারকীর কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বললেই চলে।

বিক্ষোভকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা হলেও সেনাবাহিনীর ব্যপক তৎপরতায় আন্দোলনকারীগণ ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে বেশকিছু বিক্ষুদ্ধ জনতা নাটোর জেলার থানা সমূহে হামলা ও অগ্নিসংযোগ দিতে থানাগুলো ঘিরে ফেলে, বিশেষকরে সদর থানা ও নলডাংগা থানা। এ প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর বেশ কিছু টিম লেঃ কর্ণেল মোঃ মোক্তাদির রহমান ও মেজর এম নাজমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গমন করেন এবং বিক্ষুব্ধ জনতার সংগে কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

একই দিনে বিক্ষুব্ধ জনতা ডিসি অফিস, নাটোর ঘেরাও করে ভাঙচুর করার চেষ্টা চালালে সেখানেও সেনাবাহিনীর বেশ কিছু টিম তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গমন করেন এবং বিক্ষুব্ধ জনতার সংগে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।

এছাড়াও কিছু দুস্কৃতিকারী নাটোর সোনালী ব্যাংকে আগুন দেয়া, ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের চেষ্টা করলে উক্ত সময়ে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দল মেজর এম নাজমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গমন করেন এবং দুস্কৃতিকারীগণদের ঘটনাস্থল হতে বিতারিত করে আগুন নিয়ন্ত্রনসহ সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে আনে।

৫ আগস্ট তারিখে কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত কর্তৃক নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ এর বেশকিছু কার্যালয় এবং এমপির বাসভবনে অগ্নি সংযোগ ঘটালে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাটোর জেলায় সেনা মোতায়েনের পর থেকে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সার্বক্ষনিক বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে।

আরো জানা যায়, নাটোর জেলায় সেনা মোতায়েনের পর থেকে সেনাবাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন ও স্থানীয় জনগন এর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় এবং পারস্পারিক সহযোগীতা ও সৌহাদ্যপূর্ণ মনোভাব বজায় থাকায় অদ্যাবধি পর্যন্ত নাটোর জেলার আইন-শৃঙখলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।