কক্সবাজারে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত, বিপুল পরিমান ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি জব্দ - Southeast Asia Journal

কক্সবাজারে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত, বিপুল পরিমান ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি জব্দ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সাথে বন্দুকযুদ্ধে আবুল হাশেম (২৫) ও নুর কামাল (১৯) নামে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা বুলেটসহ ধারালো অস্ত্রও জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিলস্থ নাফ নদীর তীরে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

নিহত হাশেম উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৩ ব্লকের সোলতান আহমদের পুত্র ও নুর কামাল একই ক্যাম্পের সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিজেদের ৩ সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানা যায়, নাফ নদীর তীর দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে ডুকবে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। মধ্যরাতে একটি নৌকাযোগে ৪-৫ জন লোক নদীর মায়ানমার অংশ থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাৎক্ষনিক সময় বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় নৌকায় থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালায়, আত্নরক্ষার্থে বিজিবিও মাদক ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষন পর গোলাগুলি থামলে সেখানে তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ দুই মাদক ব্যবসায়ী, ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২ টি ধারালো কিরিচ জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা। এসময় গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতদের পকেটে পাওয়া পরিচয়পত্র দেখে তাদের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান জানান, সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে একটি অসাধু স্বার্থান্বেষী চক্র রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মায়ানমার থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক দেশে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি। সীমান্তে মাদক পাচারকারী ও চোরাচালান রোধে বিজিবির অভিযানও অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জব্দকৃত মাদক, অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে নিজ দেশ থেকে ২০১৭ সালে ২৫ আগষ্ট মাসে নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করে অন্তত সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অবস্থানের পর থেকেই এসব রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মায়ানমার থেকে বিভিন্ন মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, তবে সীমান্ত নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মাদকের চালান ধরা পড়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।