বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেঘালয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
![]()
নিউজ ডেস্ক
অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ছাত্রসংগঠনগুলোর যৌথ সংগঠন নর্থ-ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (এনইএসও) মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। সংগঠনটির দাবি, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার গঠন ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।
এনইএসও চেয়ারম্যান স্যামুয়েল বি. জিরওয়া জানান, শুধু মেঘালয় নয়, আসাম ও ত্রিপুরাতেও এই সমস্যার প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে। তিনি বলেন, “এবারের আন্দোলন সরকারের প্রতি সরাসরি আহ্বান—যাতে তারা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও ব্যাপক অনুপ্রবেশের প্রভাব স্বীকার করা হয়েছে। আমরা আশা করি, কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।”
অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি এনইএসও জানিয়েছে, তাদের সহযোগী সংগঠন খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (কেএসইউ) মেঘালয়ে নিজস্বভাবে “ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি)” ধাঁচের তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডোনাল্ড ভি. থাবাহ অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আগ্রহী হলেও রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই কেএসইউ বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আইএলপি-ধাঁচের ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় কেএসইউ স্বেচ্ছা টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি মেঘালয়ের সীমানা রক্ষায় মিজোরামের মতো একটি টেরিটোরিয়াল আর্মি গঠনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের আইন অনুযায়ী বহিরাগত শ্রমিকদের শ্রম দপ্তরে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠন রাজ্যের ভেতরে “অনিবন্ধিত শ্রমিক” সনাক্তে নিজস্ব উদ্যোগে যাচাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এনইএসও জানিয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে শিগগিরই বৈঠক ডাকা হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বহু বছর ধরেই রাজনীতি ও সামাজিক অস্থিরতার একটি বড় ইস্যু হয়ে আছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।