অ্যাঁরার দেশত অ্যাঁরা ফেরত যাইতো চাই
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ দেশ মায়ানমারের রাখাইনে ফিরতে সমাবেশ করেছেন হাজারও রোহিঙ্গা। সমাবেশে রোহিঙ্গা বক্তারা আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, অ্যাঁরার দেশত অ্যাঁরা ফেরত যাইতো চাই।
সোমবার (২৫ আগস্ট ) সকালে উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পে পৃথকভাবে ২টি সমাবেশের আয়োজন করেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।
সমাবেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে দেশে ফিরতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও যথাযথ উদ্যোগ আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ঠিকানা ও ঘরবাড়ি সহায় সম্পদ এবং নিজস্ব পরিচয় সব ছিল। মায়ানমার জান্তা সরকার যুগের পর যুগ আমাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে সব কিছু জ্বালিয়ে দিয়ে ২০১৭ সালে রাখাইন থেকে বিতাড়িত করেছে। সেই থেকে আমরা আশ্রয় হিসেবে বাংলাদেশে ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরে বাস করছি। বছরের পর বছর নিজ দেশ ও মাতৃভূমি ছেড়ে আরেক দেশে জীবন কাটানো যায় না।’
তারা আরও বলেন, ‘রাখাইনে যারা আছেন তাদেরকে আরকান আর্মি নতুন করে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে দেশ ছাড়া করছে। সেজন্য মায়ানমারে ফিরে যেতে ক্যাম্পে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের ঐক্যবদ্ধ করতে এই সমাবেশ আয়োজন। কীভাবে মায়ানমারের রাখাইনে নিজ দেশে ফিরতে পারি সেই সহজ পথই খুঁজছি আমরা।’
সমাবেশে তারা বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সহানুভূতিশীল সহযোগিতা কামনা করি এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা ও সমর্থন প্রত্যাশা করি।’
সমাবেশে রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীরা রং-তুলি-পেনসিল দিয়ে চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা নির্যাতনের গণহত্যার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে।
এ ছাড়া সমাবেশ শেষে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. সিরাজ আমীন বলেন, আজ রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ চলাকালীন ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।