মিজোরামে অর্ধেকের বেশি মিয়ানমার ও বাংলাদেশি শরণার্থীর বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতের মিজোরাম রাজ্যে অবস্থানরত মিয়ানমারের শরণার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৮ দশমিক ১৫ শতাংশের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে রাজ্যের ১১টি জেলায় আশ্রয় নেওয়া ৩১ হাজারেরও বেশি মিয়ানমার নাগরিকের মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস) অঞ্চল থেকে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদেরও বায়োমেট্রিক ও জীবনীসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ চলছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশের তথ্য নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
মিজোরাম সরকার জানায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ফরেইনার্স আইডেন্টিফিকেশন পোর্টাল অ্যান্ড বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট’ ব্যবস্থার মাধ্যমে গত জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে দুই দেশের শরণার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়।
রাজ্যজুড়ে বর্তমানে ৩১ হাজার ২১৪ জন মিয়ানমার নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা পূর্ব মিজোরামের চামফাই জেলা সবচেয়ে বেশি শরণার্থী ধারণ করছে। একইভাবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম সম্প্রদায়ের ২ হাজার ৩৫৪ জন শরণার্থী মূলত লংতলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন; পাশাপাশি লুংলে আর সেরছিপ জেলার থেনজল শহরেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেশী মণিপুর রাজ্যের সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত ৬ হাজার ৯৫৩ জন মানুষও বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে কর্মকর্তাটি জানান। তার ভাষায়, বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের সংখ্যা প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত যাতায়াতের কারণে।
কর্মকর্তা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট সংকট, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা বহু পরিবারের কাছে পৌঁছানোর দুরূহতার কারণে নিবন্ধন কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে। ত্রাণশিবিরে অবস্থানকারীদের তথ্য সংগ্রহ তুলনামূলক সহজ হলেও আত্মীয়–স্বজন বা ভাড়া বাড়িতে থাকা শরণার্থীদের কাছে পৌঁছাতে সময় লাগছে।
তিনি আরও বলেন, পুরো বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের চিন রাজ্যের বহু নাগরিক ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর জীবন বাঁচাতে মিজোরামে পালিয়ে আসে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বম জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ২০২২ সালে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর (কেএনএফ) আত্নপ্রকাশের পর সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নেন। মিজোদের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন ও বাংলাদেশের বম জনগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।