থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার নতুন সীমান্ত সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। হামলা পাল্টা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, সীমান্তে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের হামলা ছিল আত্মরক্ষামূলক এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে।

এদিকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে নমপেন। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, কম্বোডিয়াকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফের উত্তাল হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কম্বোডিয়ার স্রা নগুতে একটি সংযোগস্থল এবং ক্যাসিনো কমপ্লেক্সে ট্যাংক ও বিমান হামলা চালিয়েছে।

সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই স্থানটি কম্বোডিয়ার সেনাদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই হামলার জবাব দিয়েছে কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনী। দুই দেশের এ সীমান্ত যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে হামলা সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক এবং কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি দাবি করেন, নমপেনের সেনাদের অন্য কোন উপায় ছিল না, তাই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের উপদেষ্টা সুয়োস ইয়ারা জানন, তারা এখনই থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কম্বোডিয়াকে প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। এছাড়া তিনি সতর্ক করেছেন, সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ ঠেকাতে চাপ হিসেবে শুল্ক হুমকি ব্যবহার করা উচিত নয়।

সীমান্ত উত্তেজনার পর ঘরছাড়া হয়েছেন দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ। থাইল্যান্ডে প্রায় ৫১ হাজার ১৪৭ মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে। চারটি সীমান্ত প্রদেশে ৩২৫টি শেল্টার তৈরি করা হয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা করছেন। কম্বোডিয়ায় প্রায় ৫৪ হাজার ৫৫০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র দুই পক্ষকেই উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘর্ষ আর না বাড়িয়ে সংযম দেখানোর আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চীন উভয় দেশের বন্ধু হিসেবে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। পাশাপাশি যুদ্ধবন্ধের আহবান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *