রাঙামাটিতে আবারো হামের প্রাদুর্ভাব, ফের আক্রান্ত শতাধিক শিশু - Southeast Asia Journal

রাঙামাটিতে আবারো হামের প্রাদুর্ভাব, ফের আক্রান্ত শতাধিক শিশু

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই একদফা পার্বত্য চট্টগ্রামে হামের প্রকোপ দেওয়ার পর সরকারী ও সেনাবাহিনীর তড়িৎ তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রনে আসলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাজেকে আবারো দেখা দিয়েছে মহামারি হামের প্রকোপ। আর রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো শতাধিক শিশু।

সূত্র মতে, সাজেক ইউনিয়নের শিজকছড়া, হাউজপাড়া, সুরুংনালা, মাচালং, উজোবাজার এবং ভুয়াছড়ি এলাকার অন্তত ৩৫ পরিবারের শতাধিক শিশু নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে মহামারি হামে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা জানিয়েছেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে হামের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে। মাচালংয়ের ৬৪, সুরুংনালায় ২৮ এবং গঙ্গারাম ও ভাইবোন ছড়ায় ৭ জনসহ শতাধিক শিশু নতুন করে হামে আক্রান্ত হয়েছে। তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাসের মধ্যে সাজেকে নতুন করে হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একটি মেডিকেল টিম নিয়ে বাঘাইহাটের সুরুংনালা যায়। সেখানে হামে আক্রান্ত ১২ শিশুকে পাওয়া গেছে। এর আগে ওইসব এলাকায় আক্রান্ত ১৬ রোগীকে জরুরি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মাঠে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে বলে তিনি জানান।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সাজেক ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং বিজিবির যৌথ চিকিৎসাসেবার তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসা টিমও পাঠানো হয় আক্রান্ত এলাকায়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে আবারো সাজেকের বিভিন্ন এলাকায় হামের প্রকোপ বিস্তার ঘটেছে। সেসময় সাজেকে ৯শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর সেনাবাহিনী এবং বিজিবি এগিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় গুরুতর অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ায় ৫ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।