বিজিবিতে সৈনিক জীবনের শুরু ২৫২৪ জনের
![]()
নিউজ ডেস্ক
‘কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ’ এই মন্ত্রকে বুকে লালন করে বিজিবিতে সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা হলো ২ হাজার ৫২৪ জনের। বান্দরবান লাগোয়া সাতকানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে বিজিবির মূল ট্রেনিং সেন্টারে শপথ নেন নতুন সৈনিকরা। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৯৫তম ব্যাচের ২ হাজার ৫২৪ জওয়ানদের প্রশিক্ষণ সমাপনীতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে ভিডিও কনফারেন্সে তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় বিজিবি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। জানান, সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পরিকল্পিতভাবেই এই বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এসময়, আধুনিক যুগের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত অপরাধ দমনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেন সরকার প্রধান। বলেন, বিজিবিকে শক্তিশালী করতে এরইমধ্যে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এজন্য হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে, উত্তমমানের জলযান নেয়া হচ্ছে। এছাড়া, ধাপে ধাপে আরও ১৫ হাজার জনবল নেয়া হবে।
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী খ্যাত বিজিবিতে আজ যারা যুক্ত হলেন তারাও বীরত্বের সঙ্গে বাহিনীর সুনাম ধরে রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা পৌঁছে দিতে এ বাহিনীর সদস্যদের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন জাতির পিতা। এই বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ৮১৭ জন শাহাদাত বরণ করেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সীমান্ত এবং সর্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন নারীরাও সমানতালে অবদার রাখছেন। পরে অস্ত্রচালনায় পারদর্শীতা দেখানো হাসিনা আক্তার বীথিকে এবং প্রথম স্থান অধিকার করায় খোকন মোল্লাকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। শেষে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও রাষ্ট্রীয় সালাম জানিয়ে শেষ হয় কুচকাওয়াজ।