আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ, কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন সেনার গুলিতে নিহত ৫ - Southeast Asia Journal

আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ, কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন সেনার গুলিতে নিহত ৫

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবানের এক মুখপাত্র। রোববার তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানায়, তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম সাক্ষাৎকারে বলেন, আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তালেবান প্রস্তুত। আফগান রাজনৈতিক নেতাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার নিশ্চয়তাও দেবে তালেবান।

প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির দেশ ছেড়ে পালানোকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেন মোহাম্মদ নায়েম। তিনি বলেন, গনির ঘনিষ্ঠজনেরাও এমনটি আশা করেননি।

আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর দেশ ছাড়েন আশরাফ গানি। দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী একটি সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা শুরু হয়েছে।

এদিকে, তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের পর দেশত্যাগে কাবুল বিমানবন্দরে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। বিমানবন্দর ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ জন নিহতের খবর দিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রী টার্মিনালের কাছে মার্কিন বাহিনীর গুলিতে তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন।

রবিবার রাজধানী কাবুল দখলের পর থেকেই বিদেশি এবং আফগান নাগরিকরা সীমান্ত ক্রসিং এবং কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যে যার মতো একটি বিমানে উঠতে দেখা গেছে। সোমবারের এমন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিকসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও।

মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিটে জানিয়েছে, বিমানবন্দরের যাত্রীবাহী টার্মিনালে লোকে লোকারণ্য। এ সময় ফাঁকা গুলি চালায় সেখানে থাকা মার্কিন সেনারা। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে এক মার্কিন সেনা বলছেন, রানওয়ের দিকে ছুটতে থাকা মানুষকে সতর্ক করতেই ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। হতাহতরা মার্কিন বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা বিষয়টি তাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।

এই বিমানবন্দর দিয়ে মার্কিন কূটনীতিকসহ বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ বিমানে উঠতে যাওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে।