আল-আকসায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের নিন্দা জানালেন এরদোয়ান - Southeast Asia Journal

আল-আকসায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের নিন্দা জানালেন এরদোয়ান

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। এই মসজিদের ‘মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের’ প্রতি হুমকিরও নিন্দা জানান তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ঘটনার নিন্দা জানান এরদোয়ান।

এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ফোনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। টুইট বার্তায় তিনি আরও লেখেন, আমাদের আলাপের সময়, আব্বাসকে বলেছি যে, আমি আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাই এবং এই মসজিদের মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের ওপর হুমকি ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াবো। তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তৃতীয় দিনের মতো ফের রোববার ফজরের নামাজের সময় আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ। এসময় দেশটির পুলিশ ও ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় অন্তত ১৭ জন ফিলিস্তিনি আহত হন। এর আগে গত শুক্রবার মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন আরও ১৫৮ জন ফিলিস্তিনি। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়ে বলছে, পবিত্র স্থানটিতে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনী মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস জেরুজালেমের পুরোনো শহরে অবস্থিত এবং বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইহুদিদের কাছেও এটি টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। তারাও এটিকে তাদের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

এই মসজিদ প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলোও রয়েছে। এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন।