মিয়ানমার সফরে বান কি মুন - Southeast Asia Journal

মিয়ানমার সফরে বান কি মুন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রক্তক্ষয়ী লড়াই যখন ঘিরে ধরেছে তখন মিয়ানমার সফরে এসেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। তার এ সফরের আগে মিয়ানমারের মিডিয়া কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে সোমবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার রিপোর্টে বলেছে, রোববার সন্ধ্যায় বিমানযোগে রাজধানী ন্যাপিডতে পৌঁছেন বান কি মুন ও তার টিম। তিনি সাক্ষাৎ করেছেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রীদের সঙ্গে। তবে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশনে প্রচারিত বুলেটিনে দেখা যায়, বান কি মুন বিমানবন্দরে পৌঁছে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি।

২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক জান্তা। তারপর থেকে সেখানে সৃষ্ট সংকট সমাধানের জন্য কূটনৈতিক যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা অচল অবস্থায় আছে। কারণ, ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমনপীড়নের যে আন্তর্জাতিক সমালোচনা তা প্রত্যাখ্যান করে সামরিক জান্তা।

তারা বিরোধীদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা প্রতিষ্ঠিত বিশ্বনেতাদের ‘দ্য এলডার্স’ গ্রুপের একজন সদস্য বান কি মুন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সফর করেছেন তিনি। এ সময়ে তিনি সেখানকার জেনারেলদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় আলোচনায় সফল হয়েছেন। ২০০৯ সালে তার সফরের সময় তৎকালীন সামরিক জান্তা থান শয়ে’র ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচিকে মুক্তি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে জেল থেকে মুক্তি পান সুচি। তিনি হয়ে ওঠেন মিয়ানমারের মূল বেসামরিক নেত্রী। সুচিকে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যমতের কথা জানান দিতে তিনি ২০১৬ সালে আবার মিয়ানমার সফরে যান।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে আবার সুচিকে আটক করা হয়। মিয়ানমার আবার টালমাটাল হয়ে ওঠে। দেশটির অর্থনীতি চলে যায় তলানিতে। গত বছর আগস্টে মিয়ানমার সফরে যান মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নুয়েলিন হেজার। তিনি অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চান। কিন্তু সেনাবাহিনী সেই সুযোগ দেয়নি। এরপর নুয়েলিন প্রত্যয় ঘোষণা করেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচির সঙ্গে তাকে সাক্ষাতের সুযোগ না দেয়া পর্যন্ত তিনি দেশটি সফরে যাবেন না।